২৩ মাসের বিদ্যুৎ বিল বাকি থাকায় যশোরের চৌগাছা সদর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে পল্লী বিদ্যুতের চৌগাছা আঞ্চলিক কার্যালয় এ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
চৌগাছা পল্লী বিদ্যুতের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) বালি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বিল বকেয়া থাকায় ইউপি কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দেওয়া হলেও তাঁরা তা পরিশোধ করেননি। এ জন্য সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।’
সদর ইউপির একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, ‘সচিব জন্মনিবন্ধনসহ নানা খাতে বিভিন্নভাবে জনসাধারণের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করতেন। পরিষদের সব হিসাব সচিবের কাছে আছে। তিনি তবু কেন বিল পরিশোধ করেননি সেটি বুঝতে পারছি না। তাঁর কারণেই আজ (রোববার) পরিষদ চলাকালীন এভাবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এটা আমাদের অপমানজন।’
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, ‘আমি মাত্র দুই মাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি। এখনো ইউপি সচিব পরিষদের আয়-ব্যয়ের হিসাব বুঝিয়ে দেননি। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই পল্লী বিদ্যুৎ থেকে বকেয়া ২৩ মাসের বিল পরিশোধ করার জন্য নোটিশ দেয়। আমি বিষয়টি সচিবকে বললেও তিনি গুরুত্ব দেননি। আজ (রোববার) বেলা ১১টার দিকে পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা এসে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, ‘বিষয়টি চেয়ারম্যান আমাকে জানিয়েছেন। ইউপি সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। কাল সোমবারের মধ্যে বিল পরিশোধ করে পুনরায় সংযোগ না নিতে পারলে তাঁকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) করা হবে।’
ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শরিফুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, ‘অলসতায় বিল পরিশোধ করা হয়নি। পল্লী বিদ্যুৎ থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তবে আজ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সময় তাঁরা আমাদের না বলেই বিচ্ছিন্ন করেছে।’