হোম > ছাপা সংস্করণ

স্মরণে বীরকন্যা প্রীতিলতা

কাউছার আলম, পটিয়া (চট্টগ্রাম) 

ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম বিপ্লবী বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের আত্মাহুতি দিবস আজ ২৪ সেপ্টেম্বর। আজ থেকে ঠিক ৯০ বছর আগে ১৯৩২ সালের আজকের দিনে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাবে আক্রমণের নেতৃত্ব দেন প্রীতিলতা। আক্রমণ শেষে আহত অবস্থায় ফেরার পথে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার এড়াতে পটাশিয়াম সায়ানাইড খেয়ে আত্মাহুতি দেন তিনি।

শোকে, বিষাদে আজ ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের প্রথম নারী শহীদ প্রীতিলতাকে স্মরণ করছে মানুষ। প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের আত্মাহুতি দিবস উপলক্ষে পটিয়া গৌরব সংসদের উদ্যোগে আজ বিকেল চারটায় পটিয়া ক্লাব মোস্তাফিজুর রহমান পাবলিক লাইব্রেরিতে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। 

স্বাধীনতার ভিত্তিভূমি রচনা করতে গিয়ে পুরো পৃথিবীতে যে বিপ্লবীরা হাসিমুখে মৃত্যুকে বরণ করেছেন, সেই অমৃত সন্তানদের একজন চট্টগ্রামের পটিয়ার প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার।

মেধাবী ছাত্রী প্রীতিলতার স্কুলজীবন থেকে গভীর আগ্রহ ছিল দেশ-বিদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং সেই যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের সম্পর্কে বীরত্বব্যঞ্জক গল্প শোনা, দেশাত্মবোধক ঘটনাপঞ্জি নিজের সংগ্রহে রাখা। ডা. খাস্তগীর ইংলিশ হাইস্কুলে পড়ার সময় তিনি বিপ্লবী ক্ষুদিরামের ফাঁসির কথা জানতে পারেন। চট্টগ্রামের বিপ্লবীদের নায়ক মাস্টারদা সূর্য সেনের সংগ্রামী জীবনের অনেক ঘটনা তাঁর কিশোরী মনে রেখাপাত করেছিল।

প্রীতিলতার জন্ম ১৯১১ সালের ৫ মে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ধলঘাট গ্রামে। তাঁর বাবার নাম জগবন্ধু ওয়াদ্দেদার। তিনি চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল অফিসের কর্মকর্তা ছিলেন। মায়ের নাম প্রতিভা ওয়াদ্দেদার। ছয় ভাইবোনের মধ্যে প্রীতিলতা ছিলেন দ্বিতীয়। প্রীতিলতার ডাকনাম রাণী। ছদ্মনাম ফুলতার। ব্রিটিশদের হাত থেকে দেশকে স্বাধীন করার জন্য নিজেকে গড়ে তোলার পাশাপাশি অসংখ্য বিপ্লবীকে প্রশিক্ষিত, অনুপ্রাণিত ও উজ্জীবিত করে গেছেন এ বীরকন্যা।

ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৯২৭ সালে লেটার মার্কসহ ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন প্রীতিলতা। এরপর ইডেন মহিলা কলেজে ভর্তি হন। সেখানে পড়ার সময় থেকেই বিপ্লবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হন এ বীরকন্যা। ১৯২৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মিলিত মেধা তালিকায় পঞ্চম স্থান এবং মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে আইএ পাস করেন তিনি। এরপর কলকাতার বেথুন কলেজ থেকে ১৯৩২ সালে তিনি দর্শনে স্নাতক পাস করেন। এ কলেজে পড়ার সময় বিপ্লবী দলে মেয়ে সদস্য ও ছাত্রীদের নিয়ে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। আর ১৯৩২ সালে চট্টগ্রামে ফিরে গিয়ে নন্দনকানন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন।

প্রীতিলতা যখন বিপ্লবী দলের সদস্য হতে চান, সে সময় মাস্টারদা সূর্য সেন পলাতক ছিলেন। তবে প্রীতিলতার প্রবল আগ্রহে ও বহু চেষ্টার পর ১৯৩২ সালের মে মাসে মাস্টারদার সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। সূর্য সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের পরিকল্পনা হলে প্রীতিলতার নেতৃত্বে থাকা দলটিকে বোমা তৈরির খোল আনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। নির্দেশ পেয়ে ১৯৩২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে সামরিক পোশাকে প্রীতিলতা মৃত্যুভয়হীন কয়েকজন তরুণকে সঙ্গে নিয়ে পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ করেন। আক্রমণ শেষে ফেরার সময় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে ইংরেজদের হাতে ধরা পড়ার আশঙ্কায় পকেটে থাকা পটাশিয়াম সায়ানাইড খেয়ে আত্মাহুতি দেন প্রীতিলতা।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন