মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের জোড়াঘাটা গ্রামের হানিফ আলীর এক সময় ছিল অভাবের সংসার। তবে কঠোর পরিশ্রম করে সংসারে এনেছেন সচ্ছলতা। তাও ঘাস বিক্রি করে। এখন মাসে তাঁর আয় ৭০ হাজার টাকার মতো।
হানিফ আলী বলেন, ‘জীবনে অনেক কষ্ট করেছি। অনেক রকম ব্যবসা করেছি। সর্বশেষে চেষ্টা করলাম, নেপিয়ার ঘাসের ব্যবসা করার। আর এতেই বদলে গেছে আমার ভাগ্যের চাকা। বিভিন্ন মানুষের ঘাসের জমি কিনে ব্যবসা করি। এখন প্রতিদিন দুজন শ্রমিক আমার ঘাসের জমিতে কাজ করেন। তাঁরা ঘাস কেটে দেন, আমি ভ্যানে করে তা বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে বিক্রয় করি। গবাদিপশু মালিকেরা আমাকে একদিন আগেই বলে রাখেন। বর্তমানে নেপিয়ার ঘাসের অনেক চাহিদা। অতিরিক্ত চাহিদা হওয়ায় জমির পরিমাণ বাড়াতে হচ্ছে। বর্তমানে ৪৫ থেকে ৫০ বিঘা ঘাসের জমি কেনা রয়েছে।’
হানিফ আরও বলেন, আমি অন্যের নিকট থেকে প্রতি বিঘা ঘাসের জমি ক্রয় করি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায়। আর বিক্রয় করি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায়। প্রতি আঁটি ঘাস বিক্রয় করি ১০ টাকা করে। প্রতিদিন ঘাস কাটার জন্য দুজন শ্রমিক থাকে। তাঁদের জনপ্রতি ৩০০ টাকা দিই। আমি প্রতিদিন ঘাস বিক্রয় করি ৭-৮ হাজার টাকার। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতিদিন লাভ থাকে ২৩০০ থেকে ২৫০০ টাকা। আল্লাহর রহমতে আমার সংসারে কোনো অভাব নেই, ৬ সদস্যের পরিবার নিয়ে অনেক সুখে আছি। আমি আর অন্য কোনো ব্যবসা করব না। এ ঘাসের ব্যবসায় ধরে রাখব।’
স্থানীয় বাসিন্দা ডাবলু হোসেন বলেন, ‘হানিফ আলীর অত্যন্ত কষ্টে সংসার চলতো। বিভিন্ন ব্যবসা করে কোনো রকম সংসার চালাতেন। কিন্তু হঠাৎ ঘাসের ব্যবসা শুরু করে বদলে গেছে তাঁর ভাগ্যের চাকা। এখন তিনি অনেক ভালো আছেন। এখন তাঁর সংসারে বইছে সুখের হাওয়া। ঘাসে লাভ হওয়ায় এখন অনেক জমির মালিক এ ঘাসের চাষ করছেন।’