লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার গোবর্দ্ধন হায়দারীয়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ লেনদেন করে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার সচেতন এলাকাবাসীর ব্যানারে ওই বিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে নিয়োগ বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিয়োগপ্রত্যাশী আব্দুল হারেছ বলেন, ‘সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং আয়া পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যেখানে অর্থ লেনদেন করে পছন্দের ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক ও কমিটির লোকজন। এ ছাড়া অফিস সহকারী পদে ১৭ জন ব্যক্তি আবেদন করলেও একজনের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা এবং আরেকজনের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়ে তাঁদের নিয়োগের পাঁয়তারা করছেন প্রধান শিক্ষক।’
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়েছে, ১৭ জন অংশগ্রহণকারীকে লোক দেখানো পরীক্ষা নিয়ে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ জন্য সুষ্ঠুভাবে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে মহিষখোঁচা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন সাদ্দাম বলেন, ‘সম্প্রতি নিয়োগ দেওয়া দুটি পদের একটিতে আমার বোনকে নিয়োগের জন্য প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সাত লাখ টাকা চুক্তি হয়। আমি দেড় লাখ টাকা দিয়েছি, বাকিটা নিয়োগের পর দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি অন্যজনকে টাকার বিনিময়ে আয়া পদে চাকরি দিয়েছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে দ্রুত তদন্ত করে নিয়োগ বাতিল ও পুনরায় সুষ্ঠুভাবে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে গোবর্দ্ধন হায়দারীয়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবহান নিয়োগের বিষয়ে টাকা লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘নিয়োগবিধি মোতাবেক পরীক্ষার মাধ্যমে আয়া পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।