জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোয় দেশব্যাপী চলছে পরিবহন ধর্মঘট। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ জনগণ। নিরুপায় হয়ে দ্বিগুণ ভাড়ায় গন্তব্যে পৌঁছাতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাঁদের।
গতকাল শুক্রবার সকালে থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বন্ধ রাখা হয়েছে সব ধরনের যাত্রীবাহী বাস। সেই সঙ্গে বন্ধ রয়েছে পণ্যবাহী ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানও। এতে অফিসগামী মানুষসহ সবাই পড়েছেন দুর্ভোগে। হঠাৎ জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোয় তাঁদের মাঝে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ।
কাপাসিয়া থেকে লেগুনায় চড়ে গাজীপুর যাচ্ছেন মাসুদ রানা। তিনি বলেন, ‘যাত্রীবাহী পরিবহন না থাকার কারণে ৭০ টাকার ভাড়া ১০০ টাকা দিতে হচ্ছে। প্রাইভেট অফিসে চাকরি করি, তাই বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে অফিসে যাচ্ছি।’
অনন্যা ক্লাসিক প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক বাবুল খান বলেন, ‘৬৫ টাকা লিটার তেল এক লাফে ৮০ টাকা হয়েছে। লিটারে ১৫ টাকা বাড়তি; আমরা কীভাবে পরিবহন চালাব। আমাদের নীতিনির্ধারকেরা সিদ্ধান্ত না জানানো পর্যন্ত পরিবহন চালানো বন্ধ থাকবে। সরকারের নীতিনির্ধারকদের উচিত ছিল তেলের দাম বাড়ানোর পাশাপাশি ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া। তেলের দাম বাড়িয়েছেন, সে ক্ষেত্রে ভাড়া কী হবে তা নির্ণয় করে দেওয়া উচিত ছিল।’
গাজীপুর আন্তজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি আকরাম হোসেন বলেন, ‘হঠাৎ করেই জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে সারা দেশের মতো কাপাসিয়ায় যাত্রীবাহী পরিবহন, ট্রাক মালিক সমিতি সবাই পরিবহন চালানো বন্ধ রেখেছে। এখন আমাদের ফেডারেশনের ঊর্ধ্বতন নেতাদের সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী কর্মসূচি নেওয়া হবে।’