ঝালকাঠির রাজাপুরে গুপ্তধন তুলে দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়া দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে গত বুধবার আদালতের মধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজাপুর উপজেলার গালুয়া দুর্গাপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আটককৃতরা হলেন-বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার খাউলিয়া এলাকার মো. দুলাল খানের ছেলে মো. আরিফ খান জয় (২৩) ও লক্ষ্মীপুর জেলার কমল নগর উপজেলার চর জাঙ্গালিয়া এলাকার মো. আজাদের ছেলে মো. তারেক (২৩)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গালুয়া দুর্গাপুর এলাকার মো. সাইদুর রহমান আজাদের ছেলে মো. মাসুম বিল্লাহর ঘরে গুপ্তধন আছে এমন তথ্য জানায় পূর্ব পরিচিত মো. জুয়েল (২৪) নামে প্রতারক চক্রের এক সদস্য। তার বাড়ি ফেনী জেলায়। তবে রাজাপুরে আত্মীয়তার কারণে মাসুমের বাড়িতে তার যাতায়াত ছিলো।
এদিকে গুপ্তধন তুলতে ভারত থেকে তান্ত্রিক সাধক ভাড়া করে আনতে হবে জানিয়ে গত ১৫ এপ্রিল মাসুমের কাছ থেকে এক লাখ টাকা নেয় জুয়েল। পরে দ্বিতীয় দফায় গত ৩ সেপ্টেম্বর তান্ত্রিক নিয়ে আসার খরচ বাবদ আরও পাঁচ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে নেয় জুয়েল। এরপর গত ১৭ সেপ্টেম্বর জুয়েল, আরিফ ও তারেক মাসুমের বাড়িতে আসে। এ সময় তারা মাসুমের ঘরের মাটি খুঁড়ে স্বচ্ছ কাচের একটি পেপার ওয়েট দেখিয়ে গুপ্তধন বলে জানায়। আর ওই গুপ্তধন পরিশোধন করতে সিঁদুর, রক্ত এবং সাপের মাথা কিনতে হবে বলে আরও চল্লিশ হাজার টাকা নেয় তারা। পরে বিষয়টি মাসুমের কাছে সন্দেহজনক মনে হলে গত ২১ সেপ্টেম্বর ওই তিন যুবককে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয় মাসুম। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রতারকচক্রের মূল হোতা জুয়েল পালিয়ে যায়। আরিফ ও তারেক ধরা পড়ে। এঘটনায় মাসুম বাদী হয়ে ওই তিন যুবকসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে রাজাপুর থানায় ২১ সেপ্টেম্বর রাতে মামলা করেন। সে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আরিফ ও তারেককে গত বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। রাজাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বুধবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।