প্রতি ঈদে দেশের টিভি চ্যানেলগুলো পাঁচ থেকে আট দিনের বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করে। এসব অনুষ্ঠানের প্রধান অনুষঙ্গ নাটক। টিভির বাইরেও ইদানীং অনেক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে, যারা শুধু ইউটিউবের জন্য নাটক বানায়। ফলে টিভি চ্যানেল ও ইউটিউব মিলিয়ে ঈদে প্রচারিত নাটকের সংখ্যা দাঁড়ায় হাজারের কাছাকাছি। এবারের ঈদে এ সংখ্যা বাড়বে আরও। তবে এত নাটকের ভিড়ে দর্শকপ্রিয় ও মানসম্মত নাটকের সংখ্যা দিন দিন কমছে। ফলে দর্শকের বেশির ভাগ অংশ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে টিভি নাটক থেকে।
কয়েক বছর ধরে টিভি নাটকে শিল্পীসংকটও তীব্র হয়েছে। দেশে ওয়েব প্ল্যাটফর্ম যেভাবে তার বিস্তৃতি ছড়িয়ে দিয়েছে, এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ছোট পর্দায়। টিভি নাটকে আগে যারা নিয়মিত অভিনয় করতেন, যেমন মোশাররফ করিম, জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, আফরান নিশো, চঞ্চল চৌধুরী, আব্দুন নূর সজল, নুসরাত ইমরোজ তিশা, জাকিয়া বারী মম, মেহজাবীন চৌধুরী, তাসনিয়া ফারিণ—তাঁরা সবাই ছোট পর্দার কাজ কমিয়ে দিয়েছেন। ব্যস্ত হয়েছেন ওয়েব সিনেমা ও সিরিজের কাজে। এবার ঈদেও সে চিত্র বদলায়নি।
এ ‘শূন্যতা’ পূরণে বিকল্প পথে হেঁটেছে টিভি চ্যানেলগুলো। নতুন মুখ নিয়েই ঝুঁকি নিয়েছে তারা। এবারের বেশির ভাগ নাটকে অভিনয় করেছেন নতুন অভিনয়শিল্পীরা। তালিকায় আছেন আরশ খান, সামিরা খান মাহি, যাহের আলভী, নিশাত প্রিয়ম, হিমি, তটিনী, চমক, মাহিমা, কেয়া পায়েল, রোদসী সিদ্দিকা, সাদিয়া আয়মান—যাঁরা কয়েক বছর ধরে টিভি নাটকে নিজেদের অবস্থান তৈরির চেষ্টা করছেন।এ ছাড়া নিলয় আলমগীর, খায়রুল বাশার, ফারহান আহমেদ জোভান, মুশফিক ফারহান, শামীম হাসান সরকারের অনেক নাটক প্রচার হবে এবার।