লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে নির্বাচনের নয় দিন পর গেজেট বাতিলের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে আবেদন করা হয়েছে। তথ্য গোপন করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে সদস্য পদে বিজয়ী হওয়ার অভিযোগ তোলেন দুই পরাজিত প্রার্থী মোহাম্মদ হোসেন বাবুল ও জাকির হোসেন।
দুই প্রার্থী তাঁদের অভিযোগে জানান, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী মো. হাসান পাটোয়ারী রামগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাউদেরখীল গ্রামের ভোটার। তাঁর বাবার নাম গোলাম হোসেন বাবুল। মায়ের নাম আনোয়ারা বেগম। জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ৫১০৫১৯০০০২৯৮। ভোটার এলাকার কোড নম্বর ০৫১৯।
কিন্তু তথ্য গোপন করে গত ২৮ নভেম্বর স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচনে পাশের ৬ নম্বর ওয়ার্ড শৈরশৈ গ্রাম থেকে মোরগ প্রতীকে সদস্য পদে নির্বাচিত হন হাসান পাটোয়ারী।
এ বিষয়ে গত সোমবার বর্তমান ইউপি সদস্য মোহাম্মদ হোসেন বাবুল ও জাকির হোসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
মোহাম্মদ হোসেন বাবুল ও জাকির হোসেন জানান, গত ২৮ নভেম্বর এই কেন্দ্রে ভোট হয়। ভোট দিতে গিয়ে ইভিএম মেশিনে আঙুলের ছাপ না মেলায় মোরগ প্রতীকের প্রার্থী হাসান পাটোয়ারী ভোট দিতে পারেননি। পরবর্তী সময়ে ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে তাতে গরমিল পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন তাঁরা। এ সময় তাঁরা স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯-এর ২৬ (১)-এর (ঘ) ধারা লঙ্ঘন করে ভোটার তালিকার তথ্য গোপন করে ২ নম্বর নোয়াগাঁও ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সদ্য নির্বাচিত ইউপি সদস্যের গেজেট স্থগিত করাসহ প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানান।
ভোটে দ্বিতীয় হওয়া মোহাম্মদ হোসেনকে নির্বাচিত ঘোষণা করা সম্ভব না হলে তিনি পুনর্নির্বাচনের দাবি জানান।
ভোটে তৃতীয় জাকির হোসেন বলেন, আইন অনুযায়ী ভোটে দ্বিতীয় প্রার্থীকে নির্বাচিত করা গেলে তাতে তাঁর আপত্তি নেই।
বিজয়ী ইউপি সদস্য হাসান পাটোয়ারী বলেন, ‘আমি মূলত শৈরশৈ ওয়ার্ডের ভোটার। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুলক্রমে আমার এলাকা সাউদেরখীল হওয়ায় ঝামেলা দেখা দিয়েছে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবু তাহের বলেন, ‘ঘটনাটি জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
