কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ক্ষীরা চাষ। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে ক্ষীরা চাষ হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস। স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, ক্ষীরার চাহিদা বাজারে সব সময় থাকে। কম খরচে এবং কম সময়ে ক্ষীরা চাষে তুলনামূলকভাবে বেশি লাভ হয়। তাই চাষিদের মধ্যে ক্ষীরা চাষে আগ্রহ বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৪০ হেক্টর জমিতে ক্ষীরার চাষ হয়েছে এবং চাষের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, তা ছাড়িয়ে গেছে।
কৈলাগ ইউনিয়নের ক্ষীরাচাষি শাহিন মিয়া বলেন, ‘গত বছর চার একর জমি চাষ করে লাভ হয়েছিল সাড়ে তিন লাখ টাকা। এ বছর প্রায় আট একর জমিতে ক্ষীরার আবাদ করেছি। টানা বৃষ্টিতে অনেক গাছ মারা যায়। পরে আবার গাছ লাগাই। সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে তিন লাখ টাকার মতো। এবার বাজারে ক্ষীরার দাম ভালো। আশা করি ভালো লাভ হবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ বি এম রকিবুল হাসান বলেন, ‘আমাদের অফিস থেকে প্রতিনিয়ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠে গিয়ে ক্ষীরাচাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। দেশি ও হাইব্রিড দুই জাতের ক্ষীরা এখানে চাষ হয়ে থাকে। জমিতে বীজ বপনের ১০ থেকে ১২ দিনের মাথায় চারা গজায়। এক মাসের মাথায় গাছে ফুল ও ফলের প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দেয়। দেড় মাস পূর্ণ হওয়ার পর গাছ থেকে ক্ষীরা সংগ্রহ করা হয়। বাজারে সব সময় ক্ষীরার চাহিদা থাকে।’