নওগাঁর বদলগাছীতে গ্রামীণ সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ইটভাটার মাটি ও ইট বহনকারী অবৈধ ট্রাক্টরগুলো বেপরোয়াভাবে চলাচলের কারণে সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ।
সরেজমিন দেখা গেছে, কোলা ইউপির কোলাবাজার থেকে হুদাইকুরি হয়ে পারসোমবাড়ী বাজার পর্যন্ত সাত-আট কিলোমিটার পাকা সড়ক খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়ক কর্দমাক্ত হয়ে যায়। উপজেলার প্রায় সব সড়কের একই অবস্থা।
জানা গেছে, উপজেলার প্রায় সব গ্রামীণ সড়কে খানাখন্দ হয়েছে। প্রতিবছর ইট তৈরির মৌসুমে এসব সড়ক দিয়ে বেপরোয়াভাবে মাটি বহনকারী অবৈধ ট্রাক্টর চলাচল করে। এতে মেরামতের কিছুদিন পরই সড়কগুলো চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। শুধু তা-ই নয়, বেপরোয়াভাবে এসব ট্রাক্টর চলাচলের কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা।
স্থানীয়রা বলেন, জনসাধারণের চলাচলের জন্য উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের পাকা সড়কগুলোর একই অবস্থা। গ্রামীণ সড়কগুলোতে সরকারিভাবে ধারণক্ষমতা ১৫ টনের বেশি মালবোঝাই গাড়ি চলাচল নিষেধ থাকলেও কেউ তা মানছেন না।
এ বিষয়ে বৈকণ্ঠ গ্রামের স্কুলশিক্ষক মামুন বলেন, সড়কগুলোতে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি করায় তা দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া মাটি ও ইট বহনকারী ট্রাক্টর চলায় রাস্তার ক্ষতি আরও বাড়ছে। বেপরোয়া এসব ট্রাক্টর চলাচলের সময় স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের বেশি সমস্যা হচ্ছে। ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জথা জানিয়ে কোলা গ্রামের কৃষক দোলন বলেন, সড়কে খানাখন্দ হওয়ার কারণে কৃষিপণ্য বাজারে নিতে গেলে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয়। এ ছাড়া কেউ অসুস্থ হলে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া আরও কষ্টকর হয়ে পড়ে।
বেপরোয়া গতিতে ট্রাক্টর চলার বিষয়ে ইটভাটা মালিক খোরশেদ বলেন, নভেম্বর থাকে ইটভাটার মৌসুম শুরু হয়। ইট তৈরির জন্য তাঁদের অনেক মাটি লাগে এবং তা বহন করতে ট্রাক্টর লাগে। এসব ট্রাক্টর চলাচলের ফলে রাস্তার একটু সমস্যা হয়। তবে রাস্তার মান ঠিক থাকলে নষ্ট হতো না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বদলগাছী উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. মোখলেছুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সড়কগুলোতে ১৫ টনের বেশি লোড দেওয়া নিষেধ থাকলেও কেউ তা মানছেন না। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সাত-থেকে গ্রামীণ সড়কগুলো মেরামতের জন্য বরাদ্দ এসেছে। দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।