দীর্ঘ ৮ বছর পর শিকলবন্দী জীবন থেকে মুক্তি পেলেন আগৈলঝাড়া উপজেলার রাংতা গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন তোতা। সংবাদমাধ্যমে খবর প্রচারিত হওয়ার পর গতকাল স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে তাকে শিকলবন্দী অবস্থা থেকে মুক্ত করা হয়।
জাহাঙ্গীর হোসেন তোতা বলেন, ‘শিকলবন্দী অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে খুব ভালো লাগছে। কিছুটা শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা রয়েছে। সঠিক চিকিৎসা পেলে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাশেম জানান, সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখে তিনি শিকলবন্দী জাহাঙ্গীর হোসেন তোতার অবস্থার কথা জানতে পারেন। তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহযোগিতায় গত রোববার সন্ধ্যায় তাঁকে শিকলবন্দী অবস্থা থেকে মুক্ত করা হয়। তাঁর চিকিৎসায় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
রাংতা ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, ‘একমাত্র বড় ভাইকে সুচিকিৎসা না করিয়ে শিকলবন্দী করেছিলেন ছোট ভাই। এখন তোতা মুক্তি পাওয়ায় আমরা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।’
জাহাঙ্গীর হোসেন তোতার ছোট ভাই রাংতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মানিক মিয়া জানান, ‘আমার বড় ভাইয়ের মানসিক সমস্যা ছিল। কিন্তু আমাদের উচিত হয়নি ৮ বছর তাঁকে শিকলবন্দী করে রাখা। দুই-একদিনের মধ্যে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করব।’
এদিকে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুশান্ত বালা জানান, জাহাঙ্গীর হোসেন তোতার ছোট ভাই মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে বড় ভাইয়ের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে এর সত্যতা পাওয়া যায়নি। গতকাল সোমবার সকালে জমির কাজগপত্র নিয়ে অফিসে এলে দেখা যায় জমির সব কাগজপত্র তার পিতা মৃত আলতাব হোসেনের নামে রয়েছে।