হোম > ছাপা সংস্করণ

বিদ্রোহীদের কাছে ধরাশায়ী নৌকার মাঝিরা

রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি

নরসিংদীর রায়পুরার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছে ২২ ইউপিতে। এর মধ্যে মাত্র ৯টি ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। বাকি ১৩ ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। দুজন নৌকার প্রার্থী হারিয়েছেন জামানত। আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের একাংশ বলছে, প্রার্থিতা নির্বাচনে দল তৃণমূলের মতামতকে প্রাধান্য না দেওয়ার বেশির ভাগ ইউপিতে দলীয় প্রার্থীরা হেরেছেন। এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ বলছে, যারা নৌকার প্রার্থীর বিরোধিতা করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। দলের বিরুদ্ধে যাওয়া বাকিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সরেজমিনে বিভিন্ন ইউপিতে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশির ভাগ ইউপিতে দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেননি আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। দলের পদে থাকা অনেক নেতা-কর্মীকে প্রকাশ্যে বিদ্রোহীদের পক্ষে প্রচারে নামতে দেখা গেছে। বিদ্রোহী ও দলীয় প্রার্থীদের সমর্থকদের দেখা গেছে সংঘর্ষে জড়াতে।

এসব কারণেই দলীয় প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে।

তা ছাড়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও লুটপাটসহ বিভিন্ন সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল। দুই দফায় ৮ জন নিহতসহ শতাধিক আহতের ঘটনা ঘটেছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি থাকার পর ও অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানও গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে গেছেন।

তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে মির্জাপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি মো. সাদেক মিয়া পেয়েছেন মাত্র ২৩৩ ভোট। ওই ইউপিতে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মন্জুর এলাহী। তিনি ৬ হাজার ৯৫৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। অপর বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আসাদুল্লাহ ভূঁইয়া আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ৪১৫ ভোট। জামানত হারিয়েছেন সাদেক মিয়া। রাধানগর ইউপিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী পেয়েছেন ৮৪৯ ভোট পেয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. মোহর মিয়া বলেন, ‘আমি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েও জানি না কেন এত কম ভোট পেয়েছি। আমার ইউনিয়নে দলীয় কিছু নেতা–কর্মীরা ওপরে ওপরে আমার হয়ে কাজ করলেও ভেতরে-ভেতরে বিদ্রোহীকে সমর্থন করেছেন। এটি একটি হয়তোবা নাটক ছিল।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের এক নেতা বলেন, কিছু কিছু এলাকায় তৃণমূলের মতামত কে প্রাধান্য না দিয়ে অযোগ্যদের দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার কারণে, নীরবতা পালন করেছে অনেক নেতা-কর্মী। অনেক প্রার্থী তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করতেও অনীহা প্রকাশ করেছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ঈমান উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘শুনেছি তৃণমূলের অনেক নেতা-কর্মী সব সময় দলের পক্ষে কাজ করেছেন। ওই দুই ইউনিয়নে কেন এত কম ভোট পেলেন তা খতিয়ে দেখা হবে।’

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের এমন ভরাডুবির কারণ জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন বলেন, ‘দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলেও আঞ্চলিক নির্বাচনে আন্তরিকতা ও স্থানীয় প্রভাব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই এখানে ভোটাররা শুধু প্রতীক দেখেই ভোট দেন না। এ ছাড়াও অনেক জায়গায় নৌকার কর্মী-সমর্থকেরা দলের প্রার্থীদের পক্ষে ঠিকমতো কাজ করেননি। নির্বাচনের সার্বিক বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। নৌকার বিরুদ্ধে যারাই কাজ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকজন কে বহিষ্কার করা হয়েছে। আশা করি অচিরেই আরও দলীয় সিদ্ধান্ত আসবে।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ