মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়িয়াদহ গ্রামের সুশান্ত হালদারের জায়গা-জমি নেই। অন্যের বাঁশঝাড়ে পলিথিনের ঝুপড়িতে বাস করেন চার সদস্যের পরিবার নিয়ে।
সামান্য বৃষ্টিতেই পানি পড়ে। হালকা বাতাসে ঝুপড়িটি উপড়ে যাওয়ার উপক্রম। পোকামাকড় আর সাপ-ব্যাঙের উপদ্রবের মধ্যে এই ঝুপড়িতেই থাকতে হয় তাঁদের।
সুশান্ত হালদারের পৈতৃক বাড়ি মেহেরপুর শহরে। সেখানে তাঁর জায়গা জমি নেই। এ কারণে প্রায় ২০ বছর আগে শ্বশুর বাড়ি হাড়িয়াদহেই চলে আসেন। কিন্তু তাঁর শ্বশুরেরও কোনো জায়গা জমি নেই। শ্বশুর সুধীর হালদার মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি অন্যের অন্যের জায়গায় ঝুপড়ি তুলে থাকেন।
সুশান্ত হালদার জীবিকা নির্বাহ করেন মাছ ধরে। তবে শুষ্ক মৌসুমে নদী ও জলাশয়ে পানি থাকে না। মাছ শিকারও হয় না। তখন দিনমজুরি করেন।
সুশান্ত হালদারের স্ত্রী পূর্ণিমা হালদার বলেন, ‘আমি যেই কষ্টে আছি, তা বলে বোঝানো সম্ভব না। ইউএনও স্যারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মাথা গোঁজার একটু ঠাঁই চাই। তা না হলে এই জঙ্গলেই থাকতে হবে পরিবার নিয়ে। জানি না কবে কাটবে আমাদের কষ্টের দিন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমি খানম বলেন, ‘অসহায় পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’