Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী গ্রেপ্তার

রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি

দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী গ্রেপ্তার

সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দুই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে দুই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গত শুক্রবার এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়, দোকান ও বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে।

গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার মির্জাপুর ইউপির পিরিজকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার করা প্রার্থীরা হলেন মঞ্জুর এলাহী (চশমা) এবং বর্তমান চেয়ারম্যান ও আনারস প্রতীকের মো. আসাদুল্লাহ ভূঁইয়া। সংঘর্ষে মুন্তাজ উদ্দিন (৫৫) নামের একজন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন এবং আহত অন্য দুজনের পরিচয় জানা যায়নি। তবে আহত তিনজনই মঞ্জুর এলাহীর সমর্থক বলে জানা গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। মির্জাপুর ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেক। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুর এলাহী দলীয় মনোনয়ন চেয়েও পাননি। তিনি এবার চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। বর্তমান চেয়ারম্যান আসাদুল্লাহ ভূঁইয়া পেয়েছেন আনারস প্রতীক এবং মোটরসাইকেল প্রতীক পেয়েছেন মো. আলতাব হোসেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় পিরিজকান্দি বাজারে মঞ্জুর এলাহীর সমর্থকেরা মিছিল বের করেন। একই সময় বর্তমান চেয়ারম্যান আসাদুল্লাহর সমর্থকেরাও মিছিল বের করেন। একপর্যায়ে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে দুই প্রার্থীর সমর্থকেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়, আটটি দোকানপাট ও আশপাশের ১০টি বাড়িতে ভাঙচুর চালান। এ সময় বিকাশের দুটি দোকানসহ পাঁচটি দোকানে লুটপাটের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ, বিজিবি ও র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যেরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

পিরিজকান্দি বাজারের বিকাশ এজেন্ট আল আমিন বলেন, ‘শুক্রবার রাতে মঞ্জুর এলাহীর সমর্থকেরা শাটার ভেঙে দোকানে ঢোকেন। এ সময় তাঁরা দোকানের মালামাল ও ক্যাশবাক্সে রাখা টাকা নিয়ে যান।’

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজগর হোসেন, নরসিংদী সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রায়পুরা সার্কেল সত্যজিৎ কুমার ঘোষ এবং রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে যান। শুক্রবার রাতে আসাদুল্লাহ ভূঁইয়া ও মঞ্জুর এলাহীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে পুলিশ। পরে রায়পুরা থানা-পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করে।

মির্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বলেন, সন্ধ্যায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মঞ্জুর এলাহীর একটি মিছিল বাজারের পূর্বে দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বর্তমান চেয়ারম্যান আসাদুল্লাহর লোকজন তাঁদের ওপর হামলা চালান। পরে হামলাকারীরা বেশ কিছু দোকানে ভাঙচুর করেন।

রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দিন বলেন, ‘স্বতন্ত্র দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ