Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

তালাক ও বিয়ের হার রাজশাহীতে বেশি

রাজশাহী প্রতিনিধি

তালাক ও বিয়ের হার রাজশাহীতে বেশি

দেশের অন্য বিভাগগুলোর তুলনায় রাজশাহীতে বিয়ের হার বেশি। আবার এই বিভাগে তালাকের হারও বেশি। বৈবাহিক সম্পর্কবিচ্ছিন্ন মানুষের হার বেশি খুলনা বিভাগে। আর অবিবাহিত মানুষ বেশি সিলেটে। প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনার প্রাথমিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, রাজশাহীতে বিয়ের হার ৬৮.৯৭ শতাংশ। এটি অন্য বিভাগের চেয়ে বেশি। রাজশাহী বিভাগে অবিবাহিত মানুষের হার এখন ২৪.৩৮ শতাংশ। বিধবা বা বিপত্নীক রয়েছে ৫.৬৬ শতাংশ। তালাকের হার ০.৬১ শতাংশ। এই হার অন্য বিভাগগুলোর চেয়ে বেশি। দাম্পত্য সম্পর্কবিচ্ছিন্ন মানুষ ০.৩৭ শতাংশ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে ২৮.৯৩ শতাংশ মানুষ অবিবাহিত আর বিবাহিত ৬৫.৬৩ শতাংশ। এ ছাড়া বিধবা বা বিপত্নীক ৪.৬৬ শতাংশ, তালাকপ্রাপ্ত ০.৪০ শতাংশ এবং দাম্পত্য সম্পর্কবিচ্ছিন্ন মানুষ ০.৩২ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে ৩২.৫৭ শতাংশ মানুষ অবিবাহিত। এই বিভাগে বিবাহিত ৬১.৬৭ শতাংশ। এ ছাড়া বিধবা বা বিপত্নীক ৫.১৪ শতাংশ, তালাকপ্রাপ্ত ০.৩০ শতাংশ এবং দাম্পত্য সম্পর্কবিচ্ছিন্ন মানুষ ০.৩২ শতাংশ।

খুলনায় ২৪.৫২ শতাংশ অবিবাহিত, ৬৮.৮৫ শতাংশ বিবাহিত, ৫.৬২ শতাংশ বিধবা বা বিপত্নীক, ০.৫৫ শতাংশ তালাকপ্রাপ্ত এবং দাম্পত্য সম্পর্কবিচ্ছিন্ন ০.৪৬ শতাংশ মানুষ। দাম্পত্য সম্পর্কবিচ্ছিন্ন মানুষ সবচেয়ে বেশি খুলনা বিভাগে। বিধবা ও বিপত্নীক মানুষ বেশি রংপুর বিভাগে। এই বিভাগের বিধবা বা বিপত্নীক মানুষের হার ৫.৮৪ শতাংশ। এ ছাড়া ০.৩ শতাংশ তালাকপ্রাপ্ত এবং ০.৩৫ শতাংশ মানুষ দাম্পত্য সম্পর্কবিচ্ছিন্ন। রংপুরের ২৫.৭৮ শতাংশ অবিবাহিত এবং ৬৭.৬৫ শতাংশ মানুষ বিবাহিত সম্পর্কে আছেন।

সবচেয়ে বেশি অবিবাহিত মানুষ রয়েছে সিলেট বিভাগে। এর হার ৩৭.৭৭ শতাংশ। এই বিভাগে ৫৫.৫৯ শতাংশ মানুষ বিবাহিত। এ ছাড়া সিলেট বিভাগে বিধবা বা বিপত্নীক ৫.৮১ শতাংশ, তালাকপ্রাপ্ত ০.৪৩ শতাংশ এবং দাম্পত্য সম্পর্কবিচ্ছিন্ন ০.৩৯ শতাংশ মানুষ। বরিশালের ২৭.২০ শতাংশ মানুষ অবিবাহিত। বিবাহিত মানুষের হার ৬৬.৬৬ শতাংশ। এ ছাড়া ৫.৫৪ শতাংশ বিধবা বা বিপত্নীক, ০.২৯ শতাংশ তালাকপ্রাপ্ত এবং ০.৩১ শতাংশ মানুষ দাম্পত্য সম্পর্কবিচ্ছিন্ন। ময়মনসিংহ বিভাগের ২৭.৭৫ শতাংশ মানুষ অবিবাহিত। এই বিভাগে বিবাহিত মানুষ ৬৫.৭৪ শতাংশ। এ ছাড়া বিধবা বা বিপত্নীক ৫.৭৬ শতাংশ, তালাকপ্রাপ্ত ০.৪০ শতাংশ এবং দাম্পত্য সম্পর্কবিচ্ছিন্ন ০.৩৫ শতাংশ মানুষ।

গত ১৫ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ চলে। এটি দেশের ষষ্ঠ জাতীয় আদমশুমারি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তত্ত্বাবধানে এই শুমারির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে এখন মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন পুরুষ ও ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন নারী। এ ছাড়া দেশে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১২ হাজার ৬২৯ জন।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ