Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

ছন্দময় ফুটবলে ইতিহাসের হাতছানি সাবিনাদের

নাজিম আল শমষের, ঢাকা

ছন্দময় ফুটবলে ইতিহাসের হাতছানি সাবিনাদের

আগের সাত সাক্ষাতে জয় নেই একটিতেও। পাঁচ হারের বিপরীতে ড্র শুধু দুই ম্যাচে। নেপালের মেয়েদের বিপক্ষে এই হলো বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের পরিসংখ্যান।

নেপালের কোচ কুমার থাপার কথা শুনে মনে হতে পারে, পরিসংখ্যানে খুব বেশি ভরসা পাচ্ছেন না তিনি। সংশয় না রেখে তিনি সরাসরি বলে দিলেন, দশরথে আজকের নারী সাফের ফাইনালটা বাংলাদেশের জন্য ইতিহাস গড়ার উপলক্ষ। সেই ইতিহাস গড়ার পথে এবার বাংলাদেশে কাছে পাত্তা পায়নি এক সময়ের অজেয় দল ভারতও। আত্মবিশ্বাস আর সুন্দর ফুটবলের মন্ত্র নিয়ে কাঠমান্ডুতে আজ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান উল্টে দিতে পারে নেপালের বিপক্ষেও।

সব সংখ্যা-পরিসংখ্যান ম্লান হয়েছে বাংলাদেশের খেলায়। প্রতিপক্ষকে নিয়ে ধারাবাহিক ছেলেখেলা করেছেন সাবিনা খাতুন-মারিয়া মান্দারা। টুর্নামেন্টে ৪ ম্যাচে ২০ গোল করা বাংলাদেশকে ‘সেরা’ বলতে বাধ্য হয়েছেন খোদ নেপালের কোচ। প্রতিপক্ষের সম্মান আর নিজেদের আত্মবিশ্বাসে যদি আজও ভরসা রাখতে পারেন নারী ফুটবলাররা, তাহলেই জেতা হয়ে যাবে প্রথম নারী সাফের শিরোপা।

আগের ৫ নারী সাফে মাত্র একবারই ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। ২০১৬ সাফের সেই দলের অধিনায়ক সাবিনাসহ দু-একজন বাদে সবাই ছিলেন বয়সভিত্তিক দলের ফুটবলার। দিনে দিনে পরিণত হয়েছেন মারিয়া, মণিকা চাকমা-কৃষ্ণা রানি সরকারেরা। বেড়েছে অভিজ্ঞতাও। এখন যেকোনো প্রতিপক্ষকেই চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন তাঁরা। গ্রুপ পর্বে সেইচ্যালেঞ্জে ভারতের বিপক্ষে জিতেছে গোলাম রব্বানী ছোটনের দল। আজ প্রথমবারের মতো নেপালকে হারাতে পারলে বড় ইতিহাসই গড়বেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। 

সাবিত্রা ভান্ডারি, আনিতা বেসনেতের মতো ভারতীয় লিগে খেলা ফরোয়ার্ডদের নিয়ে ৩ ম্যাচে ১১ গোল করেছে নেপাল। তিন ম্যাচেই জমাট রেখেছে নিজেদের রক্ষণ। বাংলাদেশের মতো নেপালও তাদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ভার‍তকে হারিয়েছে সেমিফাইনালে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সেই ম্যাচে খেলতে না পারা সাবিত্রা ফিরছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে ফাইনালে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৪০ গোল করা এই ফরোয়ার্ড মাথাব্যথার কারণ হতে পারেন সাবিনাদের।

নেপাল তাদের সেরা ফরোয়ার্ডকে পেলেও সংশয় আছে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড সিরাত জাহান স্বপ্নাকে নিয়ে। টুর্নামেন্টে ৪ গোল করা স্বপ্না সেমিফাইনালে ভুটানের বিপক্ষে পায়ে চোট পেয়েছিলেন। ফাইনালে শুরু থেকে খেলতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে আছে সংশয়। স্বপ্নার জায়গায় শুরুর একাদশে খেলতে পারেন ঋতুপর্ণা চাকমা। পাকিস্তান ও ভুটানের বিপক্ষে গোল করে কোচকে অবশ্য আশার আলো দেখাচ্ছেন এই ফরোয়ার্ড। কিছুদিন আগে ভাইকে হারিয়েছেন। তাই জিতে শিরোপা উৎসর্গ করতে চান প্রয়াত ভাইকে।

বাংলাদেশের বড় ‘প্রতিপক্ষ’ নেপালের ফুটবল পাগল দর্শকও। নেপালের কোচ জানিয়ে রেখেছেন, এ দর্শকের জন্যই শিরোপা জিততে চান তাঁরা। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাবিনা ও কোচ ছোটন বিষয়টা দেখছেন অন্যভাবে। দুই হ্যাটট্রিকসহ আট গোল করা সাবিনা বিষয়টা সামলে নিতে চান নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে। আর ছোটন দর্শকদের উপহার দিতে চান মনে রাখার মতো এক ম্যাচ। সাবিনা-কৃষ্ণা বনাম সাবিত্রা-আনিতার লড়াইয়ের সঙ্গে দুই দলের মাঝমাঠ ও রক্ষণের একটা জমজমাট লড়াই দেখার অপেক্ষা।

সুন্দর একটা লড়াই উপহার দেওয়ার প্রত্যয় জানিয়ে বাংলাদেশ দল থেকে বার্তা, স্বপ্নের সাফ জিততে ফুটবলাররা ম্যাচটা খেলবেন উপভোগের মন্ত্রে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ