নরসিংদীর রায়পুরার চরাঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলি ও টেঁটাবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন। তাঁদের রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নরসিংদী সদরসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার পাড়াতলী ইউনিয়নের কাচারীকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন কাচারীকান্দি গ্রামের মৃত মলফত মিয়ার ছেলে সাদির মিয়া (২২) ও আসাদ মিয়ার ছেলে হিরণ মিয়া (৩৫)।
স্থানীয় লোকজন জানান, পাড়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) কাচারীকান্দি গ্রামে সাবেক ইউপি সদস্য ফজলু মিয়ার ছেলে শাহ আলম ওরফে ছোট শাহ আলমের সঙ্গে আরেক সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল কাদির মেম্বারের ছেলে বর্তমান ইউপি সদস্য শাহ আলম ওরফে বড় শাহ আলমের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। দ্বন্দ্বের জেরে গত রোজার ঈদের পরদিন উভয় গ্রুপের সংঘর্ষে ছোট শাহ আলম-সমর্থক শহিদ মিয়া ও ইয়াসিন মিয়া নামে দুজন টেঁটাবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনার পর বড় শাহ আলমের লোকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। চলমান ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়ানো লোকজন আবার এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করছেন।
এরই জেরে গতকাল ভোরে বড় শাহ আলমের লোকজন দেশি-বিদেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ছোট শাহ আলমের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থলেই ছোট শাহ আলমের সমর্থক হিরণ মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এবং সাদির মিয়াকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। হামলাকারীদের গুলি ও টেঁটায় উভয় পক্ষের অন্তত ৪০ জন গুরুতর আহত হন। তাঁদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মোখলেছসহ বেশ কয়েকজনকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আহত রাকিব মিয়া বলেন, ‘আজ (গতকাল) ভোরে বড় শাহ আলমের লোকজন অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাদের হাতে থাকা টেঁটা, বল্লম, বন্দুকসহ দেশি-বিদেশি অস্ত্র ছিল।’ এ ব্যাপারে রায়পুরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গোবিন্দ সরকার বলেন, ‘সংঘর্ষে দুজন নিহতের সংবাদ পেয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
