‘স্যার মাস্ক লাগবে, মাস্ক? মাত্র ৫ টাকায় মাস্ক। প্রতিবন্ধী বলে কোনো বাড়তি টাকা চাই না। একটা মাস্ক নেন স্যার।’ এভাবেই ডেকে ডেকে মাস্ক বিক্রি করছেন প্রতিবন্ধী আসাদুল ইসলাম মোল্লা (৩১)। তিনি উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের আ. সালাম মোল্লার ছেলে।
শারীরিক অক্ষমতার কারণে আর দশজন মানুষের মতো ঘরে বসে থাকা বা ভিক্ষাবৃত্তিকে বেছে নেননি আসাদ। নবাবগঞ্জ এতিমখানা মাদ্রাসায় কিছুদিন লেখাপড়া করে এখন সেখানে থাকেন আসাদ। থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও নিজের চাহিদা মেটাতে তাঁকে নামতে হয়েছে জীবনযুদ্ধে।
আসাদ বলেন, ‘আমি চাইলেই ভিক্ষা করতে পারতাম। কিন্তু আমি ভিক্ষা করব না। মাস্ক বিক্রি করে নিজের চাহিদা পূরণ করছি।’
প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত হুইলচেয়ারে বসে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে মাস্ক বিক্রি করেন আসাদ।
সেবা নিতে আসা শেখ তন্ময় বলেন, আমাদের উচিত তাঁর থেকে মাস্ক কেনা।