ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে প্রতিদিন পানি বাড়ছে। এতে চরাঞ্চলের ফসল তলিয়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকেরা।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টার সময় পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির উচ্চতা মাপ রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩৮ সেন্টিমিটার। আগের দিন সোমবার ৯ দশমিক শূন্য ৫ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হয়। যেখানে গত ১৩ জুন হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ৭ দশমিক ৪৭ সেন্টিমিটার; যা এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ২ দশমিক ৪২ সেন্টিমিটার।
এ ছাড়া হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ২ লাখ ১ হাজার ৩৮৬ কিউসেক। সাতদিন আগে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছিল ৯৩ হাজার শূন্য কিউসেক। তবে পদ্মা নদীর পানির বিপৎসীমার ১৪ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। বর্তমানে ৪ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাবনার পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উত্তরাঞ্চল পানি পরিমাপক বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হোসেন।
সহকারী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হোসেন জানান, প্রতিদিন পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল (আজ) মঙ্গলবার বিকেলে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির উচ্চতার মাপ রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৩৮ সেন্টিমিটার। পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ২ লাখ ১ হাজার ৩৮৬ কিউসেক। গত ৭ দিনে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে ১ দশমিক ৯৩ সেন্টিমিটার। মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘উজানে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে এ বছর বর্ষার আগেই পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। পদ্মা নদীর পানির বিপদসীমা ১৪ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। বর্তমানে ৪ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে।’
স্থানীয় কৃষকদের সূত্রে জানা গেছে, পদ্মায় পানি বাড়ায় বাহাদুরপুর ও মোকারিমপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলের ফসল তলিয়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তায় রয়েছে কৃষকেরা।
ভেড়ামারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়খুল ইসলাম বলেন, এ মৌসুমে পদ্মার চরাঞ্চলে প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ফসলের আবাদ হয়েছে। তবে এখনো আতঙ্কের কিছু নেই। নদীর পানি অত্যধিক বৃদ্ধি পেলে চরাঞ্চলের আবাদি ফসল তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।