কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এ দিনে দাউদকান্দি (বর্তমান দাউদকান্দি-মেঘনা-তিতাস উপজেলা) পাকিস্তান বাহিনী মুক্ত মুক্ত হয়। লঞ্চে পাকিস্তানি সেনারা ঢাকায় পালিয়ে যান। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে পাকিস্তানি সেনারা পিছু হটতে শুরু করলে দাউদকান্দির বীর মুক্তিযোদ্ধারা মানসিকভাবে দ্বিগুণ শক্তিশালী হয়ে ওঠেন।
তাঁরা ইলিয়টগঞ্জ, শহিদনগর ওয়্যারলেস কেন্দ্র এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের দাউদকান্দি ডাক বাংলোতে অবস্থানরত সেনাদের টার্গেট করে উত্তর ও দক্ষিণ দিক থেকে একযোগে আক্রমণ শুরু করেন।
বৃহত্তর দাউদকান্দির মোহাম্মদপুর, ডাকখোলা, গোয়ালমারী, বাতাকান্দি এসব এলাকার ক্যাম্প থেকে মুক্তিযোদ্ধারা সামনে এগোতে থাকেন। পূর্ব দিক থেকে মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমণ করলে পাকিস্তানি সেনারা পশ্চিম দিকে সরে যেতে শুরু করেন।
দাউদকান্দি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম আজকের পত্রিকাকে জানান, ৮ ডিসেম্বর রাত থেকে ৯ ডিসেম্বর সকাল ১১টা পর্যন্ত যুদ্ধের পর পাকিস্তানি সেনারা দাউদকান্দিতে তাঁদের শেষ আশ্রয়স্থল সড়ক ও জনপথের বাংলোতে ওঠেন। সেখান থেকে লঞ্চে মেঘনা নদী দিয়ে গজারিয়া হয়ে ঢাকায় পালিয়ে যান। দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধারা দাউদকান্দি পৌঁছে পাকিস্তান বাহিনী মুক্ত দাউদকান্দিতে স্বাধীন বাংলার লাল সবুজের পতাকা ওড়ান। দিবসটি উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার দাউদকান্দি উপজেলা সদরে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্যোগে দুপুর ৩টায় উপজেলা কার্যালয়ে আলোচনাসভা, স্মৃতিচারণা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হবে।