গত শুক্রবার উপজেলার বন্দবিলা ইউনিয়নের তেলীধান্যপুড়া গ্রামে বাবার বাড়িতে গলায় ওড়না প্যাঁচানো ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয় সাদিয়ার।
সাদিয়ার মা তাহেরা বেগম বলেন, ‘বছরখানেক আগে আন্দোলবাড়িয়া গ্রামের মঞ্জুর মোল্যার ছেলে সেলিমের সঙ্গে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলাম। পারিবারিকভাবে বিয়ে হলেও আগে থেকে মামাতো বোনের সঙ্গে গভীর বন্ধুত্ব ছিল সেলিমের। বিয়ের পরও ওই মেয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। যেটা মেনে নিতে পারেনি আমার মেয়ে। এ ঘটনা কেন্দ্র করে প্রায় সময়ই সেলিম আমার মেয়েকে মারধর করত।’
সেলিম হোসেন বলেন, ‘আমার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়নি। তাই পিতৃত্ব পরিচয় দিতে আমার অস্বীকৃতি জানানোর কোনো প্রশ্নই আসে না।’
সাদিয়ার শোবার ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া নোটে লেখা ছিল, ‘আমি ফোন দিছিলাম তোমার সঙ্গে থাকব বলে। তা তুমি বুঝলে না। আমি তোমাকে বলতে চাইছিলাম যে, তোমার সন্তান আমার গর্ভে। তুমি বুঝলে না। তুমি ভালো থেকো। হয়তো বেঁচে থাকলে আমাকে মেনে নিতে না। কি করে তোমাকে ছাড়া অন্য কারও কাছে থাকব। ভালো থেকো সেলিম।’
বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দীন বলেন, ‘খবর পেয়ে সাদিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।’