মনিরুল ইসলাম মনির, মতলব উত্তর (চাঁদপুর)
‘বাবাকে হারিয়ে আজ আমার সন্তানেরা এতিম। প্রধানমন্ত্রীর দয়ায় তিন ছেলে ও এক মেয়ের মুখে দুই বেলা ভাত তুলে দিতে পারলেও বাবার অভাব পূরণ করতে পারিনি। ওদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত।’
কথাগুলো বলছিলেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার পাঁচআনী গ্রামের আতিক উল্লাহর স্ত্রী লাইলী বেগম।
লাইলী বেগম বলেন, ৫ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী আমার দুই সন্তানকে যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ৫ বছর পার হলেও এখনো মেলেনি চাকরি।
আতিক উল্লাহর বড় ছেলে মো. মিথুন সরকার বলেন, ‘আজ বাবা থাকলে এত কষ্ট করতে হতো না। নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় থাকতে হতো না। বাবাকে আমরা প্রতিটি মুহূর্তে অনুভব করি।’
এদিকে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় হলেও পুনরায় আপিল করায় এখন হাইকোর্টে তা বিচারাধীন। এ অবস্থায় বিচারের রায় দ্রুত শেষ করার দাবি জানিয়েছেন ওই ঘটনায় নিহত চাঁদপুরের মতলব উত্তরের পাঁচআনী গ্রামের আতিক উল্লাহর স্বজনেরা।
মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কুদ্দুছ জানান, শুধু কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়েই এসব পরিবারের শোক মুছে ফেলা যাবে না। অপরাধীরা শাস্তি পেলে কিছুটা হলেও তাঁরা শান্তি পাবেন। তাই দ্রুত বিচারের রায় কার্যকরের দাবি জানান তিনি।