দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকায় সিলেটে জাতীয়তাবাদী যুবদলের নেতা-কর্মীরা ঝিমিয়ে পড়েছিলেন। সম্প্রতি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ায় আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছেন তাঁরা।
তবে তিন বছর আগে যুবলীগের জেলা ও মহানগর কাউন্সিল হলেও ঘোষণা করা হয়নি পূর্ণাঙ্গ কমিটি। ফলে গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট দুটির কমিটি (মেয়াদোত্তীর্ণ) আটকে আছে মাত্র চার নেতায়। দীর্ঘদিনেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় আশাহত হয়ে পড়েছেন যুবলীগ নেতা-কর্মীরা।
দীর্ঘদিন ধরে কমিটি না থাকায় ‘যুবলীগ নেতা’ পরিচয়ে সিলেটজুড়ে নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন একাধিক ব্যক্তি। ধরা পড়লেও এঁদের দায় নিচ্ছে না যুবলীগ।
কমিটি না হওয়াকে কেন্দ্র করে জেলা ও মহানগর যুবলীগ কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ ও ক্ষোভ চরমে উঠেছে। এ অবস্থায় পদ-পদবি পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছেন অনেকেই। অনেক নেতা ছাত্রলীগ ছেড়েছেন অনেক আগে। তাকিয়ে আছেন যুবলীগের দিকে। অপেক্ষার প্রহর শেষ না হওয়ায় দৌড়ঝাঁপ করছেন অন্যান্য শাখা সংগঠনেও। মূল দল আওয়ামী লীগে চলে যাচ্ছেন কেউ কেউ।
নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, সিলেট জেলা ও মহানগর যুবলীগের অনেক নেতাই ১৪-১৫ বছর ধরে অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁদের মূল্যায়নের আশায়। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন না হওয়ায় তাঁরা অনেকটা ‘খেই’ হারিয়ে ফেলেছেন। ৮-৯ মাস ধরে একাধিকবার সিলেট জেলা ও মহানগর যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের তোড়জোড় শুরু হয়েছিল, কিন্তু বাস্তবে হয় না।
সব গ্রুপের নেতাদের সমন্বয়ের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা অনেক আগে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিয়েছি। আর এতে যাঁরা অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তাঁরা অনেকেই ত্যাগী ও পরীক্ষিত। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা যুবলীগ করছেন। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের মাধ্যমে তাঁরা মূল্যায়িত হবেন। পাঁচটি উপজেলায় নতুন করে স্ট্রাকচার দাঁড় করিয়েছি, বাকি আটটির সব ওয়ার্ড কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে দীর্ঘদিন থেকে ক্ষমতার বাইরে থাকায় নেতা-কর্মীরা ঝিমিয়ে থাকলেও ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল। কর্মিসভা, দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীসহ বেশ কয়েকটি মিছিল-সমাবেশ করে আবার চাঙা হয়ে উঠেছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। গত শনিবার সিলেট জেলা যুবদলের কাউন্সিলে সভাপতি হয়েছেন মুমিনুল ইসলাম মুমিন আর সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মকসুদ আহমদ। অন্যদিকে গত রোববার অনুষ্ঠিত মহানগর যুবদলের সম্মেলনে সভাপতি হয়েছেন শাহ নেওয়াজ বখত চৌধুরী তারেক ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মির্জা সম্রাট।