মির্জাপুর উপজেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করা নেতা ফিরোজ হায়দার খানকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গত শনিবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক পত্রে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৬ মার্চ ফিরোজ হায়দার খান দলের মহাসচিবের কাছে একটি আবেদন করেন। সেখানে তিনি ব্যবসায়িক কর্ম ব্যস্ততা ও শারীরিক অসুস্থতার জন্য দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন না বলে উল্লেখ করেন। তাই তিনি দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে পদত্যাগ করার কথা জানান। তাঁর এই আবেদন বিবেচনা করে তাঁকে প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য দলের মহাসচিবকে সেই পত্রে অনুরোধ জানান।
এদিকে রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, আপনার অবগতির জন্য নির্দেশিত হয়ে জানাচ্ছি যে আপনার পদত্যাগ পত্রটি গৃহীত হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক ও স্থানীয় সাবেক সাংসদ আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী বলেন, ‘গত দুই বছর আগে ফিরোজ হায়দার খান স্বেচ্ছায় দলের সব পদ থেকে পদত্যাগ করেন। সেই তিনি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে আন্দোলন করেন কিভাবে।’
ফিরোজ হায়দার খান জানান, আবেদন করার পর পরই তিনি পুনরায় দলের কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হয়ে আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে দেওয়া অব্যাহতিপত্রে শিগগিরই প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করবেন বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য গত ১০ মার্চ সাবেক সাংসদ আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীর স্ত্রী ফাতেমা আজাদকে আহ্বায়ক ও ১১ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে জেলা বিএনপি। কমিটিতে ৪৯ সদস্যদের নামও ঘোষণা করা হয়। তবে ঘোষিত কমিটিতে ফিরোজ হায়দার খানকে কোনো পদে রাখা হয়নি। এরপর থেকে তিনি বঞ্চিত নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন, পথসভা, বিক্ষোভ মিছিলসহ আন্দোলন সংগ্রাম করেন।