Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

জেবার পাল্টা অভিযোগে বিব্রত দোদুল

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

জেবার পাল্টা অভিযোগে বিব্রত দোদুল

ছোট পর্দার নবাগত অভিনেত্রী জেবা জান্নাতকে নিষিদ্ধ করেছে নাট্যনির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড। সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম রেজা জুয়েল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘পেশাগত কাজের ক্ষেত্রে অসহযোগিতা ও অসদাচরণের’ কারণে ২০ জুন থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে জেবাকে। সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে ডিরেক্টরস গিল্ডের সদস্যরা জেবা জান্নাতকে নিয়ে টেলিভিশন ও ডিজিটাল মাধ্যমে সব ধরনের নির্মাণ থেকে বিরত থাকবেন।

নির্মাতা রাশেদা আক্তার লাজুকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জুয়েল। অন্যদিকে অভিযোগকারী লাজুকের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ এনেছেন জেবা জান্নাত। এমনকি লাজুকের স্বামী নির্মাতা ও প্রযোজক সাজ্জাদ হোসেন দোদুলের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগও করেছেন নায়িকা।

ডিরেক্টরস গিল্ডের পক্ষ থেকে শামীম রেজা জুয়েল বলেন, ‘অভিযোগটি প্রায় এক বছর আগের। লাজুকের এ অভিযোগ মীমাংসার জন্য আমরা কয়েকবার বসেছি। জেবাকেও নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি সময় দিয়েও আসেননি। এমনটা কয়েকবার ঘটেছে। অভিযোগের পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়ায় আমরা তাঁকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জেবা জান্নাত জানান, তিনিই উল্টো নির্মাতার অপেশাদারি আচরণের শিকার হয়েছেন। জেবা বলেন, ‘সাজ্জাদ হোসেন দোদুলের “মুসা” ধারাবাহিকে অভিনয় করতাম। পরে তাঁর স্ত্রী লাজুক ভাবির “পরিবার” ধারাবাহিকে কাজ করেছি। তিনি “টু-লেট” নামে একটি সিরিয়াল করার সময় আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। শুটিং ছিল ঢাকা থেকে অনেক দূরে একটি গ্রামে। তাঁরা টাকা বাঁচানোর জন্য দুই দিনের কাজ এক দিনে করতেন। অনেক রাতে শুটিং শেষ হতো। বাসায় ফেরার জন্য আমাকে কোনো ট্রান্সপোর্টও দেওয়া হতো না।’

জেবা জান্নাতজেবা জানান, নানা অসুবিধার কারণে তিনি ‘টু-লেট’ ধারাবাহিকে অভিনয়ে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, ‘আমি নতুন, মিডিয়ায় আমার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে—তাঁরা এমন অনেক হুমকি দিয়েছেন আমাকে। তাই আমি তাঁদের সঙ্গে কাজ বন্ধ করে দিই। প্রতিশোধ নিতে আমার বিরুদ্ধে ডিরেক্টরস গিল্ডে অভিযোগ দিয়েছেন তাঁরা।’ দোদুলের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাবের অভিযোগ এনে জেবা জান্নাত আরও বলেন, ‘ওই ঘটনার পরে লাজুক ভাবির স্বামী সাজ্জাদ হোসেন দোদুল আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, আমি যদি তাঁর সঙ্গে ফ্রেন্ডশিপ করি বা প্রেম করি, তাহলে সব ঠিক করে দেবেন। সে অফার গ্রহণ না করায় তাঁরা আমার পেছনে লেগেছেন।’

তবে জেবা জান্নাতের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাজ্জাদ হোসেন দোদুল। তিনি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভালোভাবে চিনিও না। আমার স্ত্রী লাজুক তাঁকে নিয়ে এসেছিল। ওর অসহযোগিতার কারণে নাটকটি ঠিক সময়ে সম্প্রচার করা যায়নি। লাজুক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই ডিরেক্টরস গিল্ডে অভিযোগ দিয়েছিল।কিন্তু এ ঘটনায় আমার নাম কীভাবে এল! যদি তার অভিযোগই সত্যি হবে, তাহলে এত দিন কেন অভিযোগ করেনি? আমার ধারণা, নিষিদ্ধের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য অথবা ভাইরাল হওয়ার জন্য এটা করছে। তবে পুরো বিষয়টি আমার জন্য বিব্রতকর।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ