মুরগির বাচ্চার অব্যাহত দাম বাড়ার বারণে আগৈলঝাড়ায় পোলট্রি শিল্পে চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একে একে পোলট্রি ফার্মগুলো। বড় অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করা ফার্ম মালিকেরা ব্যাংক, এনজিও ও স্থানীয় মহাজনের ঋণ নিয়ে বিপদে পড়েছেন।
নাবিল পোলট্রি ফিড ব্যবসায়ী বশীর সরদার জানান, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১৯টি লেয়ার ফার্মে ১৮ হাজার মুরগি এবং ২০০টি ব্রয়লার ফার্মে ৭৫-৮০ হাজার মুরগি রয়েছে। খামার কমে যাওয়ায় এখন এক দিনের বাচ্চার চাহিদা অনেকটাই কমে গেছে।
পোলট্রি খামারি কালুপাড়া গ্রামের ছলেমান সিকদার ও গৈলা গ্রামের মামুন মীর জানান, বর্তমানে প্রতিটি মুরগির বাচ্চা কিনতে হয় ৭০ টাকা দিয়ে। প্রতিটি মুরগি উৎপাদনে তাদের ৫০-৬০ টাকা খরচ পড়ে। বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম চড়া হলেও তাঁরা প্রতি কেজি ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি করতে পারেন।
সড়কে পর্যাপ্ত যাত্রী না থাকায় ইজিবাইক বিক্রি করে মধ্য শিহিপাশা গ্রামের লাল চান হাওলাদার তার বাড়িতে পোলট্রি খামার স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু প্রথমবারেই লোকসানের মুখে ফার্ম বন্ধ করে দিয়েছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আশুতোষ রায় জানান, মুরগির বাচ্চা, খাদ্য ও ওষুধের দাম বাড়ায় পোলট্রি ব্যবসায়ীরা চরম হতাশার মধ্যে পরেছেন। আশা করি দ্রুত মুরগির বাচ্চা ও খাবারের দাম কমে গেলে ব্যবসায়ীরা লোকসান পুষিয়ে নিতে পারবেন।