Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

ভুয়া নামে টাকা লোপাট

কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

ভুয়া নামে টাকা লোপাট

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ফরিদপুর ও সালুয়া ইউনিয়নে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) প্রকল্পে নিয়ম অনুযায়ী শ্রমিক নিয়োগ না দেওয়া, টাকা আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ফরিদপুর ও সালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর ইউপিতে ইজিপিপির ৪টি প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ আসে ২১ লাখ ৭৬ হাজার টাকা এবং সালুয়া ইউপিতে ইজিপিপির ৬টি প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ আসে ৪৬ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। ইউনিয়ন দুটিতে এসব প্রকল্পের আওতায় ৪০ দিনের জন্য ৪২৭ জন অতি দরিদ্র শ্রমিকের সুবিধা পাওয়ার কথা।

প্রকল্পের কার্যাদেশে বলা আছে, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তি যাঁর কাজের সামর্থ্য আছে, যিনি ভূমিহীন, বাড়ি ছাড়া ৫ শতাংশের কম পরিমাণ জমি আছে যাঁর, যিনি মাসিক আয় ৪ হাজার টাকার কম আয় করেন, যাঁর মাছ চাষের জন্য পুকুর বা কোনো প্রাণিসম্পদ নেই এবং যাঁদের অন্য কোনো কাজের সুযোগ নেই—এমন পরিবার থেকে মাত্র একজন এই কাজের জন্য নির্বাচিত হবেন। ৩৫ সেন্টিমিটার মাটি কাটার জন্য প্রতিদিন মাথাপিছু ৪০০ টাকা মজুরি পাবেন শ্রমিকেরা। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত শ্রমিকদের মাটি কাটার কথা।

কিন্তু উপজেলার ফরিদপুর ও সালুয়া ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন প্রকল্পের তালিকায় সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে একাধিক দফাদার, চৌকিদার, ব্যবসায়ীসহ ইউপি সদস্যের ছেলে ও তাঁদের নিকটাত্মীয়দের নাম রয়েছে। শ্রমিকদের একাংশের অভিযোগ, তালিকাভুক্ত অধিকাংশ শ্রমিক কাজে অংশগ্রহণ না করলেও তাঁদের নামে ৪০ দিনের কাজ দেখিয়ে নির্ধারিত টাকা তোলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধি ও শ্রমিক সর্দারসহ প্রভাবশালীরা এ টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নিয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রে একজনের নাম ব্যবহার করে অন্যজনের মোবাইল ফোনে অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা উত্তোলন করেছেন। 
সালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রকল্প সভাপতি ও ইউপি সদস্য মো. আলী আকবর বলেন, ‘আমার প্রকল্পে মোট ৬৪ জন শ্রমিকের মধ্যে আমি ১৪ জনের নাম দিয়েছি। স্থানীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ৫ জনের নাম দেওয়া হয়েছে। ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য ৩ জনের নাম দিয়েছেন। আমি শ্রমিকদের কাছে সিম কার্ড বুঝিয়ে দিয়েছি। কিন্তু স্থানীয় চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে দেওয়া ৪২ জন শ্রমিকের সিম আমার হাতে ছিল না। তাই ওসব সিম কার্ড না পেয়ে শ্রমিকেরা অভিযোগ করার পর আমি বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শ্রমিক বলেন, ‘মৌসুমি বেকার শ্রমিক পরিবারের জন্য সরকার ইজিপিপি প্রকল্প বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা আমাদের মতো অতি দরিদ্র শ্রমিকদের প্রকল্পের কাজে নিয়োগ দেননি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কাইয়ুম বলেন, ‘তালিকা তৈরির সময় আমি গুরুতর অসুস্থ ছিলাম। প্রজেক্টের সভাপতিরা কীভাবে তালিকা করেছেন, তা জানি না। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নেব।’ ফরিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান এস এম আজিজ উল্ল্যাহ বলেন, ‘এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’ এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘এ নিয়ে এখনো আমি অবগত নই। কেউ যদি আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করে, তার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ