ফেনীর সোনাগাজীর সদর ইউনিয়নের একটি ভোট কেন্দ্রের পাশ থেকে নির্বাচনী কর্মকর্তার সিল-স্বাক্ষর যুক্ত শতাধিক ব্যালট পেপার উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। বিষয়টি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের জানালেও কারও সাড়া মেলেনি।
এদিকে গতকাল সোমবার দুপুরে অগ্রণী ব্যাংকে কর্মরত এক আনসার সদস্য রাজু নামের একজনকে নিয়ে ব্যালট পেপারগুলো নিতে এলে জনতা দুজনকে আটক করে।
এ সময় সোনাগাজী-মুহুরী প্রকল্পের আঞ্চলিক সড়কে ব্যারিকেড দিলে মডেল থানার পুলিশ এসে জনতাকে শান্ত করে। সন্ধ্যা নাগাদ উত্তেজিত জনতা আটক রাখার পর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম পলাশ এসে প্রায় ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর মামুন ও রাজুকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ব্যালট পেপারগুলোর বেশির ভাগই হাতপাখা প্রতীকের ভোট। কিছু ঘোড়া ও টেলিফোন প্রতীকের ভোটও রয়েছে।
গতকাল সকালে ওই ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাড়াইতকান্দি হোছাইনিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রের পাশে স্থানীয়রা নির্বাচন কমিশনের লোগো সংবলিত ও দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি খাম পড়ে থাকতে দেখে। যার ওপর ওই কেন্দ্রে হাতপাখা প্রতীক প্রার্থীর ৮৪টি ভোট প্রাপ্তির সংখ্যা উল্লেখ করা আছে। পরে খাম খুললে ভেতরে শতাধিক সিল-স্বাক্ষরযুক্ত ব্যালট পেপার পাওয়া যায়।
জনতার জিজ্ঞাসাবাদে আটক মামুন জানান, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম ব্যালট পেপার নিতে পাঠিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মইনুল হক বলেন, এ ধরনের ঘটনায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে পারেন। ব্যালটগুলো আসল হয়ে থাকলে তিনি জব্দ করে নিয়ে আসতে পারেন।
প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যালট পেপারগুলো অন্য কোথাও থেকে এনে এখানে ফেলা হয়েছে। আমি নির্বাচন অফিস থেকে যতগুলো ব্যালট নিয়ে এসেছি, সেগুলো বুঝিয়ে দিয়েছি।’ কিন্তু পরে তাঁর স্বাক্ষরযুক্ত ওই খাম ও ব্যালট পেপারগুলোর ছবি দেখালে তিনি আর কিছু বলতে রাজি হননি।
সোনাগাজী মডেল থানার কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম পলাশ বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি নিজে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে আটক মামুন ও রাজু নামের দুজনকে থানায় নিয়ে আসি। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’