Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

রেলের জায়গা দখল করে সিএনজি স্টেশন ও দোকান

কাউছার আলম, পটিয়া (চট্টগ্রাম) 

রেলের জায়গা দখল করে   সিএনজি স্টেশন ও দোকান

চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেললাইনের পাশে পটিয়া অংশে অবৈধ স্থাপনা দিন দিন বাড়ছে। গড়ে উঠছে সিএনজি স্টেশনসহ অস্থায়ী দোকান। এসব অবৈধ স্থাপনার কারণে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।

অভিযোগ রয়েছে, পটিয়া রেলস্টেশনের কিছু কর্মচারীকে ম্যানেজ করে এসব অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। রেল কর্তৃপক্ষ মাঝেমধ্যে উচ্ছেদ অভিযান চালালেও পুনরায় স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে।

এদিকে দুটি ডেমু ট্রেন চালু থাকলেও লোকাল ট্রেন বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া পটিয়ায় রেলওয়ের তিন কোটি টাকার অধিক সম্পত্তি বেদখল রয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেললাইনের কক্সবাজার পর্যন্ত কাজ শেষ পর্যায়ে। ২০২২ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বটতলী রেলস্টেশন থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চালু করা হবে। ইতিমধ্যে পটিয়া রেলস্টেশনসহ প্রতিটি স্টেশন এলাকায় গেটম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

তবে পটিয়ায় রেললাইনের পাশে বেশ কিছু ভ্রাম্যমাণ দোকান রয়েছে। এসব দোকান দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এ ছাড়া স্টেশনের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে একটি সিএনজি স্টেশন। প্রতিদিন প্রায় দেড় শ সিএনজিচালিত অটোরিকশা রেলওয়ের জায়গায় রাখা হয়। ট্রেন আসার আগমুহূর্তে দৌড়াদৌড়ি করে অটোরিকশাগুলো সরিয়ে রাখেন চালকেরা। আবার ট্রেন চলে গেলে একই স্থানে রাখা হয়।

এ ছাড়া আশপাশের ৫-২০ ফুটের মধ্যে আরও ১৫-২০টি ভ্রাম্যমাণ দোকান রয়েছে।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম-পটিয়া-দোহাজারী রেললাইনে ডেমু ট্রেন উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। করোনার শুরুতে যাত্রীবাহী একটি লোকাল ট্রেন বন্ধ করা হয়। সেই ট্রেন এখন পর্যন্ত চালু হয়নি। বর্তমানে দুটি ডেমু ট্রেন চালু রয়েছে।

এ ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, এখন ইঞ্জিনের চরম সংকট চলছে। দোহাজারী রুটে আগে তিনটি ট্রেন চলত। দুটি ডেমু এবং একটি লোকাল ট্রেন। এখন দুটি ডেমু চললেও ইঞ্জিনের কারণে লোকাল ট্রেনটি চালু করা যায়নি।

স্থানীয় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম ঝুন্টু বলেন, পটিয়া রেলস্টেশন এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে ভ্রাম্যমাণ বেশ কিছু দোকান এবং সিএনজি স্টেশন। এসব স্থাপনার কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। মাঝেমধ্যে রেল কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করলেও পুনরায় তা দখল করা হয়।

জানা গেছে, করোনার কারণে গত বছরের ২৫ মার্চ প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করার ঘোষণা দেয় সরকার। গত বছরের ৩১ মে আট জোড়া আন্তনগর ট্রেন চালু করা হয়। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে গত বছরের ৫ এপ্রিল থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়। সাত সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর ২৪ মে থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এরপর আবারও ২৩ জুন থেকে বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। পরে ২৩ জুলাই থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সারা দেশে আন্তনগর এবং মেইল-কমিউটার ট্রেন চলাচল করলেও দোহাজারী রুটের লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এ ব্যাপারে পটিয়া স্টেশন মাস্টার নেজাম উদ্দিন বলেন, সবচেয়ে মারাত্মক ও ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে সিএনজি স্টেশন। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। দরপত্রের মাধ্যমে বাউন্ডারি দিয়ে স্টেশন ঘেরার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। দুটি ডেমু ট্রেন চালু আছে এবং লোকাল ট্রেন বন্ধ রয়েছে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ