গোপালপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মর্জিনা পারভীনকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে নারী শিক্ষকদের হয়রানির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাঁকে বদলি করা হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গত মঙ্গলবার এ নির্দেশ দেন। টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের একটি সূত্র এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে প্রসূতিকালীন ছুটি নিয়ে নারী শিক্ষকদের হয়রানির অভিযোগ ছিল ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এর প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আলী এহসান গত ৩০ ডিসেম্বর বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করেন।
গত ৫ জানুয়ারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল আজিজের কাছে তিনি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার বিষয়টি উঠে আসে।
শিক্ষা অধিদপ্তর এক নির্দেশে গোপালপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মর্জিনা পারভীনকে কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলায় শাস্তিমূলক বদলি করে। গতকাল বুধবারের মধ্যে তাকে দায়িত্ব হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়।
গোপালপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল করিম বলেন, সরকার ঘোষিত মাতৃত্বকালীন ছুটির প্রচলিত নিয়ম উপেক্ষা করে মনগড়া আইন চালু করেন তিনি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল আজিজ বলেন, মর্জিনা পারভীনকে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে বদলি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ ডিসেম্বর ‘শিক্ষকদের মাতৃকালীন ছুটি মঞ্জুর করাতে ভোগান্তি’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত করে আজকের পত্রিকা।