কয়েক দিন ধরে ঘূর্ণিঝড় অশনির কারণে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। তবুও বৈশাখের তীব্র রোদ ও প্রচণ্ড দাবদাহের লেশমাত্র কমেনি। ঘরে-বাইরে অসহনীয় গরম। এরই মধ্যে বৈশাখে গাছ ছেয়ে গেছে নতুন পাতায়। আর সেই পাতা মধ্যের মুখে উঁকি দিচ্ছে ফুল। হালকা দখিনা বাতাসে ভেসে আসছে সেই ফুলের সৌরভ। গাছের দিকে তাকাতেই চোখে পড়ে লাল-সবুজের লুকোচুরি খেলা। এমন দৃশ্য দেখা গেছে ভোলার লালমোহন উপজেলার উপকূলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধ এলাকায়।
বাঁধের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাছ সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে। সেই সৌন্দর্যে মুগ্ধ ক্লান্ত পথিক। নির্মল বাতাসে দাঁড়িয়ে কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য উপভোগ করছেন দর্শনার্থীরা।
লালমোহনে বেড়িবাঁধে দুটি কৃষ্ণচূড়াগাছ রোপণ করেন শাহিনুর বেগম। তাঁর স্বামী আহম্মদ আলী বলেন, ‘আট বছর আগে চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে এ কৃষ্ণচূড়াগাছের বীজ আনেন আমার শাশুড়ি। সেই বীজ রোপণ করে আমার স্ত্রী শাহিনুর বেগম। গত দুই বছর ধরে গাছে ফুল ধরছে। গাছগুলো কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য উপভোগ করতে মাঝেমধ্যে এখানে অনেকেই ঘুরতে আসেন।’
তবে উপজেলা সদর থেকে বেড়িবাঁধের গাছ দুটি অনেকটা দূরে থাকায় এখনো প্রকৃতিপ্রেমীদের নজরে আসেনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ গ্রামে শহরে মানুষের আনাগোনা খুবই কম। যাঁরা আসছেন, তাঁরাও কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য উপভোগ করতেই আসেন। ছবি তোলনে। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছাড়েন। উষ্ণ আবহাওয়ায় শান্তির পরশ বুলিয়ে দিতে কৃষ্ণচূড়া ফুলের কোনো জুড়ি নেই।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ শাহিন বলেন, ‘গাছ দুটি থেকে একটু দূরে মেঘনার পাড়। সেখানে অনেক পর্যটক আসেন। প্রকৃতির নির্মল বাতাস, নদীর উত্তাল ঢেউ আর সবুজের সমারোহ দেখতে ছুটে আসেন তরুণ-তরুণীরা। ছবি তুলে নিয়ে যান।’
ঘুরতে আসা আরেফিন ফয়সাল বলেন, ‘বাঁধের ওপর দিয়ে যখন হাঁটছিলাম। তখন দূর থেকে নজরে পড়ে কৃষ্ণচূড়াগাছ। কাছে গিয়ে ছবি তুলেছি।’
রেশমা আক্তার বলেন, ‘মেঘনার পাড়ে ঘুরতে এলাম। দূর থেকে গাছগুলো দেখলাম। সত্যি কৃষ্ণচূড়া ফুল মনটা ভরিয়ে দিয়েছে।’
এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, ‘কৃষ্ণচূড়াগাছ দুটি প্রকৃতিতে এনেছে রঙের ভিন্নতা। সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে সবুজ পাতা আর লালের। সেই লাল ফুলে মুগ্ধ মানুষ।’