সংবিধান, নারী উন্নয়ন নীতিমালা ও আরপিও অনুযায়ী সব কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারীদের সম্পৃক্ত থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে তা হচ্ছে না। সরকার বিভিন্নভাবে নারীদের সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নিলেও তৃণমূল পর্যায়ে এর বাস্তবায়ন তেমন প্রতিফলিত হয় না। রাজনৈতিক দলের কমিটিসহ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে ৩৩ শতাংশ নারীদের মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়েছে খুলনা জেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের নেতারা।
গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে রূপান্তর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে খুলনা জেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের নেতারা এমন দাবি জানান। খুলনা জেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি ও ফুলতলা উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান ফারজানা নিশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, রূপান্তর নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম খোকন। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান রুনু ইকবাল বিথার, মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট অলোকা নন্দা দাস, উইমেন চেম্বার অব কমার্স সভাপতি শামীমা সুলতানা শিলু, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেলের সভাপতি সন্ধ্যা গাইন।
সভায় রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনে রাজনৈতিক দলের সব কমিটিতে ৩৩% নারী ২০২৫ সালের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা ও ২০২৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রত্যেক রাজনৈতিক দল থেকে ৩৩% নারীকে নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানানো হয়। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে নারী সংগঠনগুলো একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, আকলিমা খাতুন তুলি, বুলু রায় গাঙ্গুলি, দানকুমারী, মাধুবী সরকার, পার্বতী ফৌজদার, ফারহানা আফরোজ মনা, পপি ব্যানার্জি প্রমুখ।
সভায় জাতীয় মহিলা সংস্থা, মহিলা পরিষদ, মহিলা আইনজীবী সমিতি, ব্লাস্ট খুলনা ইউনিট, বাংলাদেশ উইমেইন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, খুলনা নারী শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ সেল, নারী উদ্যোক্তা, সাথি ও বটিয়াঘাটা, দাকোপ, ডুমুরিয়া, ফুলতলা, তেরখাদা ও রূপসা অপরাজিতা নেটওয়ার্ক সদস্য প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, সুইজারল্যান্ড সরকারের সহযোগিতা ও হেলভেটাস সুইস ইন্টার কো-অপারেশনের তত্ত্বাবধানে রূপান্তর খুলনা ও বাগেরহাট জেলার ১১ উপজেলার ৮৪টি ইউনিয়নে অপরাজিতা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।