Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

খোলাবাজারে পণ্য কিনতে ভিড়

মির্জাপুর প্রতিনিধি

খোলাবাজারে পণ্য কিনতে ভিড়

মির্জাপুর পৌরসভার মুসলিমপাড়ার বাসিন্দা গৃহবধূ সুমি আক্তার ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) বা খোলাবাজারের চাল পেতে ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। পাশাপাশি প্রতিবেশী শিল্পী ও ফাতেমার জন্য ইট ও ব্যাগ দিয়ে লাইনে জায়গা রেখেছেন। অন্যদিন শিল্পী ভোরে এসে ফাতেমা ও সুমির জায়গা রাখেন। কম মূল্যে চাল-আটা কিনতে এভাবে রুটিন করে লাইনে দাঁড়ান তাঁরা।

তবে শুধু সুমি বা শিল্পী নয়, তাঁদের মতো অনেকে বাড়ির কাজ করে সকাল ৮টার দিকে এসে ইট বা ব্যাগ ফেলে রাখা লাইনের জায়গায় দাঁড়ান প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে। এতে ভোগান্তি হলেও কম দামে পণ্য কিনতে পারেন নিম্ন আয়ের মানুষ। বাজারে চাল ও আটার দামে হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ, সে কারণে সাশ্রয়ী দামে পণ্য দুটি কিনতে ওএমএসের দিকে ছুটছেন তাঁরা।

জানা গেছে, বাজারে মোটা চালের কেজি ৫০ টাকা। সেই একই চাল খাদ্য অধিদপ্তরের ওএমএসের মাধ্যমে ৩০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। আর ৩২ টাকা কেজির আটা ১৮। এভাবে ৫ কেজি চাল কিনলে বাজারমূল্যের চাইতে ১০০ ও আটায় ৭০ টাকা সাশ্রয় হয় তাঁদের। তবে এভাবে পণ্য কিনতে দাঁড়াতে হয় দীর্ঘ লাইনে। কখনো ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েও মেলে না। পৌরসভার কয়েকটি ওএমএসের বিক্রয়কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে এমনই চিত্র।

পণ্য কিনতে আসা একাধিক জনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কিছুটা সাশ্রয়ের আশায় বিক্রয়কেন্দ্রের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন তাঁরা। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেতে ভোর হতে না হতেই অনেকে এসে বসে থাকেন ডিলারের দোকানের সামনে। কেউবা আবার অন্যের জন্য জায়গা রাখেন।

পোষ্টকামুরী মাঝিপাড়ার বাসিন্দা বৃদ্ধা কমলা বেগম (৭৫) ও ডালিমন বেগম (৭০), বাইমহাটি গ্রামের শেফালি বেওড়া (৭০) দেওহাটা গ্রামের হামেদা খাতুন (৬৫) জানান, লাইনের প্রথম দিকে জায়গা পেতে ফজরের নামাজ পড়ে তাঁরা এখানে এসেছেন। তারপরও জায়গা পাননি।

মুসলিমপাড়ার বাসিন্দা দুলাল ও মুসুরিয়াঘোনার দুদু মিয়া বলেন, ‘সকাল ৯টা থেকে বিক্রয়কেন্দ্রের সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। ২ ঘণ্টা অপেক্ষা করে পাঁচ কেজি করে চাল কিনেছি। তাতে ১০০ টাকা সাশ্রয় হয়েছে।’

দুলাল মিয়া জানান, ওএমএসের চাল প্রতি সপ্তাহে কেনেন। কখনো কখনো বরাদ্দ কম থাকায় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও চাল পান না। তখন বাধ্য হয়ে বাজার থেকে চড়া দামে কিনে খেতে হয়। ওএমএসের ৩০ টাকার চালের পাশাপাশি ১৮ টাকা দরের আটাও মিলছে।

এদিকে ক্রেতার চাপে হিমশিম খাচ্ছেন ডিলাররা। তাঁদের দাবি—বর্তমানে একজন ডিলার সর্বোচ্চ এক মেট্রিক টন চাল ও এক মেট্রিক টন আটা বরাদ্দ পান; যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম।

ডিলার ফরিদ খান জানান, আগে এত বেশি ক্রেতা ছিল না। কিন্তু বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ওএমএসের বিক্রিও বেড়েছে। সে তুলনায় বরাদ্দ না পাওয়াতে সমস্যা হচ্ছে। অনেকে এসে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা শ্যামল সরকার বলেন, ‘মির্জাপুরে চারজন ডিলার ওএমএসের পণ্য বিক্রি করে থাকেন। সপ্তাহে ছয় দিন তাঁরা প্রত্যেকে এক টন চাল ও এক টন আটা বিক্রি করেন। তবে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম বলে দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়। তবে প্রতিটি কেন্দ্রে আমাদের একজন করে সুপারভাইজার উপস্থিত থেকে পণ্য বিক্রি করেন। যাতে অনিয়ম ও ভোগান্তি এড়ানো যায়।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ