প্রথমবারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এদিনও খুলনার জিরোপয়েন্ট থেকে গল্লামারী সড়কে তীব্র যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
এদিকে চলতি মাসের ১,২ ও ৯ তারিখে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার মতো এবারও খুবি কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল পরীক্ষার দিন সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের গল্লামারী-জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। কিন্তু সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে যে, তীব্র যানজটে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। এদিন গল্লামারী-জিরোপয়েন্ট সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল না।
এ বিষয়ে এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক নাহিদ কামাল বলেন, আমি ফুলতলা থেকে মেয়েকে পরীক্ষা দিতে নিয়ে এসেছিলাম। গল্লামারী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক পর্যন্ত আসতেই আমাদের ১৫ মিনিটের বেশি সময় লেগে গেছে। পরীক্ষা চলাকালীন সময় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘আমরা শতভাগ সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এ পরীক্ষা গ্রহণ করছি। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আমরা সন্তুষ্ট। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এবার বহুলাংশে ভোগান্তি কমেছে।’
তিনি আরও বলেন, এবার বৃহত্তর পরিসরের এ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সাফল্যের ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যতে আরও অনেক সিদ্ধান্ত হতে পারে। যানজটের বিষয়ে জানতে চাইলে ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আসলে যেভাবে চাচ্ছে সেটা বাস্তবায়ন সম্ভব না। আমাদের কাছে এই যানবাহনগুলো বিকল্প কোনো রাস্তায় পাঠিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে পরেরদিন থেকে ভারী গাড়িগুলোকে সাচিবুনিয়া বাইপাসে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। এতে পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা তত্ত্বাবধায়ক মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে। এরপরও যানজট দেখা দিলে আমরা যত দ্রুত সম্ভব সমস্যাটি নিরসন করতে চেষ্টা করেছি।