এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুলনার বাজারে সব ধরনের সবজির পাশাপাশি বেড়েছে ডিম, পেঁয়াজ ও চিনির দাম, তবে কমেছে তেলের দাম। স্থিতিশীল রয়েছে চালের বাজার।
গতকাল শুক্রবার খুলনার শেখ পাড়া, মিস্ত্রি পাড়া, নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা।
লালশাক ৪০ টাকা, ফুলকপি ১০০ টাকা, শিম ১২০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০ টাকা, কুশি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে এসব পণ্যের দাম গড়ে ২০ থেকে ৩০ টাকা কম ছিল।
বিক্রেতারা বলছেন, টানা বৃষ্টিতে সবজির ফলন কম হওয়ায় বাজারে সরবরাহের ঘাটতির কারণে দাম বেড়েছে। এ ব্যাপারে জাহিদ হোসেন নামের এক বিক্রেতা বলেন, ‘বর্তমানে বাজারে সবজির সরবরাহ অনেক কম। যে কারণে দাম ঊর্ধ্বমুখী।’
অন্যদিকে ডিম, পেঁয়াজ ও চিনির দামও বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার প্রতি হালি ডিম ৪৪ থেকে ৪৮ টাকা বিক্রি হয়েছে, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৪০ থেকে ৪৬ টাকায়। এদিকে চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৯৫ টাকায়।
পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। বাজারে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকায়। তবে কমেছে সয়াবিনের দাম। বোতলজাত সয়াবিন লিটারে ১৪ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে ১৭৮ টাকায়, খোলা সয়াবিন লিটারে ২১ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে ১৬৪ টাকায়।
এ প্রসঙ্গে নগরীর শেখ পাড়া বাজারের ব্যবসায়ী সজিব মোল্লা বলেন, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে হঠাৎ ডিমের দাম বেড়েছে। পোলট্রি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ার অজুহাতে ডিমের দাম বাড়ানোয় প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।
এ বিষয়ে আরাফাত হোসেন অনিক নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘নিয়মিত বাজার মনিটরিং এবং দোকানে পণ্যমূল্য টাঙানো বাধ্যতামূলক করা হলে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম রাখতে পারত না।’
এ বিষয়ে জেলা বাজার কর্মকর্তা শাহরিয়ার আকুঞ্জি বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযান চলছে। সামনে আরও অভিযান চালানো হবে।’