রংপুরের কাউনিয়ায় বিয়ের সাত মাস পর রুহি আক্তার নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে উপজেলার কূর্শা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্ৰামে স্বামীর বাড়ি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
রুহি আক্তার উপজেলার সারাই ইউনিয়নের পাঠানপাড়া গ্ৰামের ইউনুছ আলীর মেয়ে এবং রামচন্দ্রপুর গ্ৰামের পারভেজ আলমের স্ত্রী।
রুহির মা জয়গুন বলেন, ‘সাত মাস আগে আমার মেয়েকে ফুসলে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করে পারভেজ। প্রায় চার মাস আগে তারা বাড়িতে আসে। এর মধ্যে মেয়ের সঙ্গে আমাদের দেখা-সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়নি।’ গত শুক্রবার মেয়ে মোবাইল ফোনে কান্না করে আমাকে বলে, ‘তোমরা আবারও আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের ব্যবস্থা কর।
শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমাকে সব সময় খোঁটা দেয়। আমি আর সহ্য করতে পারছি না।’ এই বলে কল কেটে দেয়। এরপর আর কথা হয়নি তার সঙ্গে। রুহির মা বলেন, ‘আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না।’
রুহির বাবা ইউনুছ বলেন, ‘জামাই যৌতুক হিসেবে দুই লাখ টাকা দাবি করে; কিন্তু অভিভাবক ছাড়া আমি টাকা দিতে অস্বীকার করি। এতে জামাই ও তাঁর মা আমার মেয়েকে প্রায়ই মানসিকভাবে নির্যাতন করত।’