টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে আলু, মরিচ ও সরিষাখেতের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাষিরা। খেতে পানি জমে যাওয়ায় চারা পচে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
দাউদকান্দির শহীদনগরের আলুচাষি ফারুক মিয়া জানান, টানা বৃষ্টিতে খেতে পানি জমে গেছে। এতে সদ্য বপণ করা আলুবীজ পচে যেতে পারে। এবার তিনি ছয় বিঘা জমিতে আলুচাষ করেছেন। এবার তিনি দুশ্চিন্তা মুক্ত ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টিতে চারা জন্মানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
দাউদকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সারওয়ার জামান বলেন, উপজেলায় টানা বৃষ্টির কারণে আলুচাষিরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা বুঝতে সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
গতকাল তিতাস উপজেলার গাজীপুর পশ্চিম চকের গিয়ে দেখা গেছে, দুলাল ফকির তাঁর মরিচ খেতে জমা বৃষ্টির পানি বালতি দিয়ে নিষ্কাশনের চেষ্টা করছেন। তিনি ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা খরচ করে সাড়ে চার কানি জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। তিনি জানান, বৃষ্টিতে গাছের মূলে কাদার সৃষ্টি হয়েছে। রোদ উঠলে মরিচ গাছ মারা যেতে পারে। এ ছাড়া এই এলাকায় আলু, ধনিয়া পাতা, ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসল চাষিরাও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, জাওয়াদের প্রভাবে সৃষ্ট এই বৃষ্টিতে ইরি, বোরো ধানের বীজতলা, করলা, ধনিয়া, মুলা, লালশাক, লাউ, কুমড়াসহ অন্যান্য শীতকালীন শাকসবজি খেতেরও ক্ষতি হয়েছে।
তিতাস উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন বলেন, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে তিতাস উপজেলার অনেক ফসলের খেত প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি শেষ হলে মাঠ পর্যবেক্ষণ করলে বলতে পারব কী কী ফসলের ক্ষতি হয়েছে।’