চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ঢাকামুখী হচ্ছেন নেতারা। অন্যদিকে যাঁরা স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচন করবেন তাঁরা ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।
জানা গেছে, সপ্তম ধাপে সাতকানিয়ার ১৭ ইউপির মধ্যে নির্বাচন হবে ১৬টিতে। আইনি জটিলতার কারণে এওচিয়া ইউপির নির্বাচন এ ধাপে হবে না। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ইউপিগুলো হলো সোনাকানিয়া, সাতকানিয়া, ছদাহা, বাজালিয়া, পুরানগড়, কেঁওচিয়া, ধর্মপুর, কালিয়াইশ, খাগরিয়া, নলুয়া, আমিলাইশ, পশ্চিম ঢেমশা, পূর্ব ঢেমশা, মাদার্শা, কাঞ্চনা ও চরতী।
সরেজমিন দেখা গেছে, তফসিল ঘোষণার পর থেকে যাঁরা প্রার্থী হতে চাচ্ছেন তাঁরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে গ্রামের অলিগলি, চায়ের দোকান ও হাটবাজারে চেয়ারম্যান এবং ইউপি সদস্য প্রার্থীদের ব্যানার ও ফেস্টুন ভরে গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে প্রচার। শুরু হয়েছে প্রার্থীদের নিয়ে চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তফসিল ঘোষণার পর থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে নেতারা ঢাকামুখী হচ্ছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে যে যাঁর মতো লবিং চালাচ্ছেন।
এদিকে যাঁরা স্বতন্ত্র হিসেবে চেয়ারম্যান প্রার্থী হবেন তাঁরা এলাকায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী একাধিক নেতা বলেন, জেলা ও উপজেলা নেতাদের কাছে কেন্দ্রে নাম পাঠানোর জন্য তদবির করেছেন। এখন ঢাকায় আছি, পরিচিত কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তদবিরের জন্য।
এ ব্যাপারে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘দলের হাই কমান্ড প্রার্থীদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। আশা করি যাঁরা দলের দুর্দিনে অবদান রেখেছেন, তাঁদের মূল্যায়ন করা হবে।’
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু তালেব মণ্ডল বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আশা করি সুষ্ঠু একটি নির্বাচন উপহার দিতে পারব।’
উল্লেখ্য, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ১২ জানুয়ারি। ১৫ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই, ২২ জানুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহার ও ২৩ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।