খুলনার ডুমুরিয়ায় হিমায়িত রপ্তানি যোগ্য চিংড়ি মাছে জেলি পুশ করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ডিপো মালিক ও কর্মচারীসহ ৬ জনের জেল-জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
গত রোববার বিকেলে উপজেলা সদরের ২টি মৎস্য ডিপোতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল ওয়াদুদ এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. মনিরুজ্জামান যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলা সদরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের পশ্চিম পার্শ্বে জনৈক মোস্তফা শেখ ও মুশফিকুর রহমানের মৎস্য ডিপোতে গলদা চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য জেলি পুশ করা হচ্ছে-এমন খবরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল ওয়াদুদ ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মনিরুজ্জামানসহ মৎস্য দপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযান চালান।
এ সময় অপদ্রব্য পুশ অবস্থায় ডিপো মালিক মোস্তফা শেখসহ অন্যদের হাতে নাতে ধরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪২ ধারা লঙ্ঘনের অপরাধে মোস্তফা শেখকে ১ মাসের জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়। মুশফিকুর রহমানের ডিপোর কর্মচারী ফরিদ মোল্লাকে ১৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ওই ডিপোর নারী শ্রমিক শেফালি বেগম, আমেনা বেগম, পিয়া বেগম ও শিল্পী বেগম প্রত্যেককে ৫০০ টাকা জরিমানা ধার্য করে আদায় করা হয়।
এ সময় আদালত অপদ্রব্য পুশ করা প্রায় ১০০ কেজি চিংড়ি বিনষ্ট এবং পুশের জন্য মজুত রাখা আরও ১০০ কেজি চিংড়ি নিলাম ডাকের মাধ্যমে সাড়ে ৫২ হাজার টাকা বিক্রি করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেন। অভিযান পরিচালনায় উপস্থিত থেকে সহযোগিতা করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল, ডুমুরিয়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু বক্কার সিদ্দীক, থানা-পুলিশের একটি দল।