দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে শরীয়তপুর সদর উপজেলার তিন ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) সাতজন প্রার্থীর মধ্যে চারজন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত তিন প্রার্থী। তাঁরা হচ্ছেন চিতলিয়া ইউপির হারুন-অর-রশিদ, বিনোদপুরের আব্দুল হামেদ সাকিদার ও চন্দ্রপুর ইউনিয়নের আব্দুস সালাম খান।
গতকাল বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শরীয়তপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন।
শরীয়তপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন জানান, চন্দ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা কমিটির অর্থবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম খান। আর মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ফারুক মোল্যা। ফারুক মোল্যা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তাই ওই ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন আব্দুস সালাম খান। চিতলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হারুন অর রশিদ, বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা নিয়েছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুস সালাম হাওলাদার। আব্দুস সালাম হাওলাদার তাঁর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ওই ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন হারুন অর রশিদ। বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন আব্দুল হামিদ সাকিদার এবং বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন দেলোয়ার হোসেন মাদবর। দেলোয়ার হোসেন মাদবর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ায় আব্দুল হামিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
মনোনয়ন প্রত্যাহারকারী প্রার্থীরা বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগ করি এবং দলের ক্ষতি হয় এমন কাজ আমরা করতে পারি না। দলীয় আনুগত্যের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছি।’
সদর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আগামী ১১ নভেম্বর শরীয়তপুর সদর উপজেলার ১০টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।