ত্রিশালের মোক্ষপুর ইউনিয়নের সাপখালী এলাকায় ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিশালাকার বটগাছ। তবে কেউ বলতে পারেন না, গাছটির বয়স কত। এটি এখন এলাকার মানুষের ভ্রমণের অন্যতম স্থানে পরিণত হয়েছে। গাছের পাশেই রয়েছে লালপীরের মাজার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে ওই স্থানে পীরের ভক্তরা ভিড় জমান। নানা ধরনের আয়োজন থাকে সেখানে। এলাকায় তৈরি হয় উৎসবের আমেজ। এই মাজারে প্রতিবছর ওরস মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এ ছাড়া বটগাছটি দেখতে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন মানুষ। বেশ কয়েকবার ঝড়ে ওই পুরোনো বটগাছটির ডালপালা ভাঙলেও প্রতিবারই টিকে থেকেছে বলে জানা গেছে। তবে গাছটির বয়স নিয়ে কেউ কোনো ধারণা দিতে পারেননি।
লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে, এই বটগাছের পাতা ছিঁড়ে বেশ কয়েকজনের শরীরে জ্বর এসেছিল। তারপর থেকে ভয়ে কেউ পাতা ছেঁড়া বা ডালপালা ভাঙেন না। অনেকের বিশ্বাস, এখানে এসে মনের ইচ্ছা, বাসনা ব্যক্ত করলে তা পূরণ হয়। বটগাছটির কাছেই পীরের ভক্তরা এসে দোয়া, প্রার্থনা ও মানত করেন। থাকে ভূরিভোজের আয়োজন।
স্থানীয় শহীদ, আসলাম, শরিফসহ কয়েকজন জানান, এই বটগাছের পাতা ছিঁড়লেই নাকি শরীরে জ্বর হতো। বটগাছটি নিয়ে অনেক অলৌকিক ঘটনা রয়েছে। এগুলো পূর্বপুরুষদের মুখে মুখে শুনে আসছেন তাঁরা।
সরেজমিন দেখা যায়, বটগাছের শিকড় ও ডালপালা মাটিতে পড়ে আবার পুনরায় গাছ হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে। বিশাল বিশাল শিকড় মূল হয়ে একসঙ্গে জড়িয়ে আছে। আবার কিছু দূরে ডালপালা থেকে অসংখ্য মূলের সৃষ্টি হয়েছে। ২০-২৫টি এমন মূল রয়েছে। ডাল পালা চারদিকে ছড়িয়ে বছরের পর বছর ছায়া দিয়ে যাচ্ছে।
অবশ্য অনেকে বলছেন, প্রথমে এই বটগাছটি মাজারে ছিল। মাজার থেকে এনে কেউ পাশেই ডালপালা ফেলে দিলে সেখানেই বটগাছটি বেড়ে ওঠে। তবে এ বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য কেউ দিতে পারেননি।