থাইল্যান্ডের বিপক্ষে দুরন্ত জয় দিয়ে নারী এশিয়া কাপ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে পরের ম্যাচেই অবশ্য ছন্দপতন, ৯ উইকেটে উড়ে গেছে স্বাগতিকেরা। তাতে নিগার সুলতানা জ্যোতি-সালমা খাতুনদের শিরোপা ধরে রাখার অভিযান একটু ধাক্কা খেয়েছে।
পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পণ নিয়ে যতটা না আলোচনা হয়েছে, তার চেয়ে বেশি অসন্তুষ্টি ঝরেছে উইকেট নিয়ে। এবারের টুর্নামেন্টের প্রথম পাঁচ দিনে ৯ ম্যাচ রাখা হয়েছিল সিলেট আউটার স্টেডিয়ামে (গ্রাউন্ড ২)। প্রতিটি ম্যাচেই দেখা গেছে বোলারদের দাপট।
মালয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগেও পিচ নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। যদিও আজ থেকে টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলো হবে মূল মাঠ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ভেন্যু বদলানোয় উইকেটের আচরণ বদলাবে কি না, সেটা ম্যাচ চলার সময় বোঝা যাবে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য জরুরি চিড় ধরা মনোবল চাঙা করা।
পাকিস্তান ম্যাচের পরদিন জ্যোতিরা বিশ্রামে কাটালেও গতকাল একাডেমি মাঠে অনুশীলন করেছেন সবাই। অনুশীলন শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে এসেছেন সানজিদা আক্তার মেঘলা। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এনসিএলে (জাতীয় লিগে) এখানে খেলে গিয়েছি। দুই মাঠেই সমানভাবে খেলা হয়েছে। এক নম্বর মাঠও বেশ স্পিন সহায়ক।’
বেলা গড়ার সঙ্গে সঙ্গে সিলেটের উইকেটের আচরণও পাল্টায় বলে মনে করেন মেঘলা।
পরিসংখ্যান-রেকর্ডে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশই এগিয়ে থাকবে। বাঁহাতি স্পিনার মেঘলা আশাবাদী, মালয়েশিয়াকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়াবেন তাঁরা, ‘ওদের সঙ্গে কমনওয়েলথের বাছাইপর্বে খেলেছি। তাদের ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণা আছে। আগের ম্যাচে ভালো বোলিং করতে পারিনি। প্রতিপক্ষ যে-ই হোক, পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারলে লক্ষ্য পূরণ হবে। দলের সবাই ইতিবাচক চিন্তা করছে। এ ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াব আশা করি।’