Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

দুই জেলায় একজনও নেননি চতুর্থ ডোজ

 নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

দুই জেলায় একজনও নেননি চতুর্থ ডোজ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে রাজশাহী বিভাগে চতুর্থ ডোজ টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার থেকে ষাটোর্ধ্বদের টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়া হয়। কিন্তু রাজশাহী বিভাগের দুই জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জে একজনও প্রথম দিন চতুর্থ ডোজের টিকা গ্রহণ করেননি।

রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী মহানগরের চারটি কেন্দ্র এবং বিভাগের অন্য সাত জেলার প্রতিটি সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চতুর্থ ডোজ টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে।

অন্য ছয় জেলার মধ্যে রাজশাহী জেলা ও মহানগরে ২৭ জন পুরুষ এবং ২৬ জন নারী; নওগাঁয় ১১১ জন পুরুষ ও ৬৮ জন নারী; নাটোরে ২০ জন পুরুষ ও ১২ জন নারী; জয়পুরহাটে ১৭ জন পুরুষ ও ১৬ জন নারী; বগুড়ায় ৪২ জন পুরুষ ও ৪৬ জন নারী এবং পাবনায় ৭ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী টিকা নিয়েছেন। মোট টিকা গ্রহণকারী ৩৯৬ জন।

রাজশাহী মহানগরের মধ্যে পুলিশ লাইনস হাসপাতাল, সিটি করপোরেশনের নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, রাজশাহী সেনানিবাস হাসপাতাল এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ডের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টিকা দেওয়া হয়। দুপুরে দুটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। টিকা নেওয়ার মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না। মাঝেমধ্যে দুয়েকজন এসে টিকা নিয়ে যাচ্ছেন। কোথাও কোনো মানুষের ভিড় দেখা যায়নি।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, চতুর্থ ডোজ প্রয়োগের ব্যাপারে আগে থেকে প্রচার চালানো হয়নি। তাই টিকা নেওয়ার মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না, আবার অনেকে পরে নেবেন ভেবে হয়তো আসেননি।

প্রথম দিন টিকা প্রয়োগ কেমন হলো জানতে চাইলে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এ এফ এম আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, খুব খারাপ। টিকা নিতে আসা মানুষের সংখ্যা খুবই কম। এটা তো এখন চলবে। পরে হয়তো লোকজন আসবে। সে কারণে প্রথম দিন টিকা গ্রহণকারী খুবই কম।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) নাজমা আক্তার জানান, ষাটোর্ধ্ব নারী-পুরুষকে এখন চতুর্থ ডোজ টিকা দেওয়া হচ্ছে। সব ধরনের টিকাই আছে। যে টিকার তৃতীয় ডোজ নেওয়া আছে, চতুর্থ ডোজও সে টিকা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু প্রথম দিন রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জের কেউ টিকা নেননি অথচ জেলা সদর এবং প্রত্যেক উপজেলাতেই এ কার্যক্রম চলছে।

এই টিকা দেওয়ার ব্যাপারে প্রচারের ঘাটতি ছিল কি না জানতে চাইলে নাজমা আক্তার বলেন, ওভাবে কোনো প্রচার চালানো হয়নি। টেলিভিশনে সংবাদ প্রচার হয়েছে, মানুষ জেনে গেছে। কোভিডের সংক্রমণ কমে যাওয়ার কারণে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার আগ্রহ কমে গেছে। সেখানে চতুর্থ ডোজ নেওয়ার আগ্রহ কম থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। এ জন্য প্রথম দিন খুব বেশি মানুষ টিকা নেননি। তবে কার্যক্রম চলমান থাকবে। সবাই টিকা নেবেন। 

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ