খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৪শ’ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এ অভিযানের অংশ হিসেবে গত দুইদিন উপজেলা সদরের দুধ বাজার ও শালতা নদীর পাশে পাউবোর জায়গায় নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
গত বুধবার বেলা ১১টা থেকে এ অভিযান শুরু হয়। গত দুই দিনব্যাপী এ অভিযানে মোট ৮৬টি স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয় বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডুমুরিয়া উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান।
এর মধ্যে প্রথম দিনে ৬০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। বাকিগুলো দ্বিতীয় দিনে উচ্ছেদ করা হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসকের আদেশ মোতাবেক গত ২০১৯ সালে এ অভিযান শুরু করা হয়। তবে করোনা মহামারির কারণে এ অভিযান বন্ধ রাখা হয়। এ সময় খুলনা জেলার রাজস্ব ডেপুটি কালেক্টর নয়ন কুমার রাজবংশী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এদিকে উচ্ছেদ অভিযান শুরুর আগে গত বুধবার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না ভাঙার দাবি জানিয়েছেন।
এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানান তাঁরা। মানববন্ধনে শত শত ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করে রাজপথে নেমে আসেন। কিন্তু পুলিশের বাধার মুখে তাদের মানববন্ধন একপর্যায়ে ভন্ডুল হয়ে যায়। এরপর ৩টি বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। এ সময় উচ্ছেদ অভিযান চলার কারণে বাজার এলাকাসহ ডুমুরিয়া শরাফপুর সড়ক বন্ধ হয়ে যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচল ব্যাহত হয়।
এদিকে দ্বিতীয় দিন উপজেলা সদরের শালতা নদীর পাশে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গতকাল সকালে ডুমুরিয়ার বহুল আলোচিত আনোয়ারা সুপার মার্কেট ভাঙা হয়। উচ্ছেদ অভিযান সকাল ১১টায় শুরু হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন কুমার রাজবংশী। এতে সহযোগিতা করেন পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিভাগ ও পাউবোর কর্মকর্তারা। পাউবো খুলনার উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, গতকাল আনোয়ারা মৎস্য আড়ত, হাসেম আলী পাইকারি কাঁচা বাজারসহ অন্যান্য স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এর পর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের পাশের অবৈধ স্থাপনাসহ পর্যায়ক্রমে ডুমুরিয়ার প্রায় সাড়ে ১৪শ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।