আগৈলঝাড়া উপজেলার রথখোলা-তালের বাজার সড়কের একটি সেতুর মাঝে গর্ত তৈরি হয়েছে। প্রতিদিন ওই সেতু দিয়ে চলাফেরা করা কয়েক হাজার মানুষ এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন। উপজেলা স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের (এলজিইডি) এই সেতু সংস্কারের ব্যাপারে উদ্যােগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের রথখোলা-তালের বাজার-রামের বাজার সড়কের ভদ্রপাড়ার ওয়াপদা খালের ওপর ২০ বছর আগে একটি ঢালাই সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল।
নির্মাণের ৪-৫ বছর পরেই ওই সেতুর বিভিন্ন স্থানে ভেঙে রড বের হয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়। গর্তের কারণে ওই সেতু দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। গর্তের মধ্যে কাঠ দিয়ে মোটরসাইকেল, ভ্যান ও ইজিবাইক চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিন দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছেন যাত্রীরা। ওই সেতু দিয়ে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন হাজার হাজার লোকজন চলাচল করেন। বিশেষ করে রাতের অন্ধকারে ওই সেতু দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে সাধারণ লোকজন ও পথচারীরা।
বিকল্প কোনো যাতায়াত পথ না থাকায়, মরণফাঁদ জেনেও সেতুটি পার হচ্ছেন আশপাশের গ্রামগুলোর বাসিন্দারা। সরেজমিন দেখা যায়, সেতুটির দুপাশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিনই সেতুটি পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন কেউ না কেউ। সেতুটি এমন দুরবস্থায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তেমন কোনো তৎপরতা নেই বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। বর্তমানে সেতুটির অবস্থা খুবই করুণ। যে কোনো সময় ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্কা এলাকাবাসীর। এ ছাড়া জমি থেকে ধান আনার জন্য কোনো গাড়ি চলাচল করতে না পারায় কৃষকেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই ভাঙা সেতু দিয়ে পার হচ্ছেন।
ভদ্রপাড়া গ্রামের আনিচ সরদার, জালাল সরদার জানান, সেতুটিতে মানুষ উঠলে কাঁপতে থাকে। অথচ সেতুটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাথা ব্যথা নেই। কয়েক বছর ধরে সেতুটি মেরামত হওয়ার কথা শুনছি, কবে হবে তা কেউই বলতে পারে না।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী শিপলু কর্মকার বলেন, ‘ওই সেতুর ব্যাপারে আমাদের প্রকল্প দেওয়া আছে। প্রকল্প অনুমোদন হলেই সেতুর নির্মাণকাজের টেন্ডার আহ্বান করা হবে।’