টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের টানা চারবারের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা একাব্বর হোসেন (৬৫) ইন্তেকাল করেছেন। একই দিন ইন্তেকাল করেছেন কুমিল্লার প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আফজল খান (৮২)। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে. সাংসদ একাব্বর গতকাল মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। আফজল খান ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।
মির্জাপুর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও সাংসদ একাব্বর হোসেনের সাবেক একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী শামীম আল মামুন বলেন, জাতীয় সংসদ ভবনের চত্বরে গতকাল সন্ধ্যায় একাব্বর হোসেনের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার বাদ জোহর টাঙ্গাইলে মির্জাপুর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে। সাংসদ একাব্বর কিডনিজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
একাব্বর হোসেন ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে টাঙ্গাইল-৭ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০০৮,২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে একই আসন থেকে সাংসদ হন। তিনি জাতীয় সংসদে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে প্রয়াত আফজল খানের মেয়ে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ আঞ্জুম সুলতানা সীমা বলেন, আজ বুধবার সকাল ১১টায় কুমিল্লার ঠাকুরপাড়া খান বাড়ি জামে মসজিদে তাঁর বাবার প্রথম এবং বাদ জোহর কুমিল্লা টাউন হল মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। সম্প্রতি তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হন। এরপর ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়।
আফজল খান বিভিন্ন সময়ে কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, কুমিল্লা শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি, বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাবেক সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তা ছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধু ল-কলেজ, শেখ ফজিলাতুন্নেছা কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মডার্ন স্কুলসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা।