‘এই প্রথম মুই ডিজিটালে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম)) ভোট দিনুং, ডিজিটালে ভোট দেওয়া যে এত সহজ, ভোট দেওয়ার আগত মনে হছিল কেমন করি ভোট দিম, এখন দেখং ভোট দেওয়া খুবেই সহজ। ডিজিটাল হয়া ভালোই হইছে। ভোট নষ্ট হবার ভয় নাই, ভোট দিয়া ভালোই লাগিল।’ কথাগুলো বলেন রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রেজাউল হক।
গতকাল সোমবার ৬৪ জেলার মধ্যে ৫৭ জেলা পরিষদের নির্বাচন হয়। সকাল ৯টা থেকে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ চলে, শেষ হয় বেলা ২টায়। রংপুরের আট উপজেলার আটটি ভোটকেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৯৫টি। গঙ্গাচড়ায় ভোট হয় উপজেলা পরিষদের হলরুমে।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এরশাদ উদ্দিন জানান, ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদারের জন্য অত্যাধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়। যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এ জন্য ভোটকেন্দ্রের চারপাশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি জোরদার করা হয়।
গঙ্গাচড়ায় ভোট পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারহান লাবিব জিসান বলেন, আমরা ভোটারদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করেছি যাতে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে এসে কোনো ভোটার বিভ্রান্তির শিকার না হন। এজন্য ভোটারদের সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করেছি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলে।
১ নম্বর ওয়ার্ড তথা গঙ্গাচড়া উপজেলার সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ও তিস্তা সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক মমিনুর ইসলাম। তিনি ঢোল প্রতীকে ৪৯ ভোট পান।
এদিকে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা পরিষদের হলরুমে ভোট গ্রহণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভোটারেরা উচ্ছ্বসিত ছিলেন। ভোট দেওয়া শেষে খানসামার আংগারপাড়া ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আবু খায়ের বলেন, ‘কোনঠে ফির ঝামেলা, ইভিএমে তো সহজেই ভোট দিলাম। মেশিনে টিপ দিতেই হয়া গেল।’
খানসামায় ৮১ জন ভোটার ইভিএমের মাধ্যমে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত আসনে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেন। খানসামার প্রিসাইডিং অফিসার মাসুদ রানা বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রায় ৮০ ভাগ ভোট সংগ্রহ হয়। ইভিএমে ভোট গ্রহণে কোনো ঝামেলা হয়নি। ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছেন।
খানসামা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে খানসামা উপজেলা তথা ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সদস্য পদে নির্বাচিত হলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম আকবর আলী শাহয়ের নাতি এবং জমিরউদ্দিন শাহ বালিকা বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহরিয়ার জামান শাহ নিপুণ। তিনি পেয়েছেন ৫১ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আজিজুর রহমান পেয়েছেন ২৭ ভোট।