দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বৈঠকে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনা নিয়ে অনির্ধারিত আলোচনায় সরকারপ্রধান এমন নির্দেশনা দেন। বৈঠকে পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে, খুব কড়া পদক্ষেপে যেতে হবে। যারা যারা জড়িত, তাদের অবশ্যই ধরতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কড়া পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বলা হয়েছে, যে কেউ ছোটখাটো কোনো কিছু করলেই প্রতিক্রিয়া দেখানো ইসলাম ধর্ম অনুমোদন করে না, এই বিষয়টি নিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলতে হবে।
মন্ত্রিসভার আলোচনা সভায় পঁচাত্তরের পনেরোই আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খুনিদের প্রতি খালেদা জিয়ার এই যে পক্ষপাতিত্ব এটার কারণটা কী? কারণটা খুব স্পষ্ট। কারণ, খুনি মোশতাকের সঙ্গে জিয়াউর রহমান সম্পূর্ণভাবে এই খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল। এই রাসেলকে সর্ব শেষে হত্যা করা হয়। বলা হয়েছিল, ওই ছোট্ট টুকু যেন না বাঁচে। এই নির্দেশটা কে দিয়েছিল? কারা দিয়েছিল? সব শেষে, সব থেকে এটাই কষ্টের।’
ধর্ম পালন করবে সবাই
বাংলাদেশের সব মানুষ তাদের ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এত রক্তক্ষয়, এত কিছু বাংলাদেশে ঘটে গেছে যে আর যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। এখানে সব ধর্মের মানুষ তার ধর্ম পালন করবে স্বাধীনভাবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে ও প্রধানমন্ত্রীর সহোদর শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
সংবিধান সব মানুষকে স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের অধিকার দিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সংবিধানেও সেই নির্দেশনা দেওয়া আছে। ইসলাম ধর্মও সেই কথাই বলে। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না। কাজেই সেই বাড়াবাড়ি কেউ যেন না করে। সেটাও আমরা চাই। এই দেশের সব মানুষ যাতে শান্তিতে বসবাস করতে পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’