পরিচিত কোনো রাজনৈতিক দলের সক্রিয় নেতা নন তিনি। সমাজসেবাতেও নেই অংশগ্রহণ। তারপরও কখনো সাংসদ, কখনোবা উপজেলা চেয়ারম্যান কখনো আবার ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। প্রতিবারই জামানত খোয়াতে হয় তাঁকে। তারপরও বারবার নির্বাচনে অংশ নেন। নির্বাচনে অংশ নেওয়াই যেন তাঁর নেশা।
তিনি হলেন টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের উপনির্বাচনে বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির প্রার্থী রুপা রায় চৌধুরী। নির্বাচনের বাকি আছে আর তিন দিন। কিন্তু এখনো জনসংযোগে নামেননি তিনি। দেখা যায়নি তাঁর কোনো পোস্টার বা ব্যানার।
রুপা রায় চৌধুরীর বাড়ি উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বাগজান গ্রামে। অষ্টম শ্রেণি পাস এই প্রার্থী তিন সন্তানের জননী। স্বামী চন্দন রায় একজন কৃষক। আর্থিক সচ্ছলতা না থাকলেও রুপা রায় এর আগেও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। এরপর তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু দুই নির্বাচনেই তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
মুঠোফোনে কথা হয় রুপা রায় চৌধুরীর সঙ্গে। এ সময় তিনি বলেন, ‘জনসংযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছি। দু-এক দিনের মধ্যে প্রচার শুরু করব।’ এ প্রার্থী আরও বলেন, ‘আমি জনগণের সেবা করতে চাই। আমার বিশ্বাস, একবার না একবার জনগণ আমাকে সুযোগ করে দেবেন নিশ্চয়।’