ভেদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের নেতা ইমরান খানের (৩১) বিরুদ্ধে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এক নারী মামলা দুটি করেছেন।
ভেদরগঞ্জ থানা ও মামলা সূত্রে জানা যায়, এক নারী গত ২৯ নভেম্বর বাদী হয়ে আদালতে যৌতুক চাওয়ার অভিযোগে মামলা করেন। পরের দিন নারী নির্যাতনের আরেকটি মামলা করেন তিনি। ৫ ডিসেম্বর আদালতের নির্দেশে যৌতুকের মামলাটি ভেদরগঞ্জ থানায় নথিভুক্ত হয়। এ ছাড়া নারী নির্যাতনের মামলায় আদালত থেকে ইমরানের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হয়েছে। অভিযুক্ত ইমরান উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ কার্তিকপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ভেদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক।
থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘নারী নির্যাতনের মামলায় ইমরানের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। তার বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলাও হয়েছে। ইমরান পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
ওই নারীর ভাষ্য, ‘ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী কাজির মাধ্যমে গোপনে ইমরান আমাকে বিয়ে করেছেন। বিয়ের পর তাঁর ভাইকে ইতালি পাঠাবেন বলে আমার কাছ থেকে দুই ধাপে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক নিয়েছেন। তাঁর কথায় এক বছর বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখি। আমি স্ত্রী হিসেবে তাঁর বাড়িতে থাকতে চাওয়ার পর থেকে আমাকে অস্বীকার করছেন। শুধু তাই নয়, আমাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতেন। এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইমরানের এলাকার নেতাদের বিষয়টি জানালে তাঁরা কোনো পদক্ষেপ নেননি। তাই মামলা দুটি করেছি।’